ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাপড়ে ময়লা ছিটিয়ে লুটে নেওয়া হয় টাকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 5 April 2022, 157 বার পড়া হয়েছে,

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অভিনব কায়দায় লুটে নেওয়া হচ্ছে টাকা। ব্যাংক থেকে বের হতেই পেছন থেকে ময়লা ছিটিয়ে দেওয়া হয় কাপড়ে। পরে ফাঁদ পেতে গ্রাহকের কাছ থেকে লুটে নিয়ে যাওয়া হয় টাকা। গত দুই দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার দুই উপজেলায় দুজনের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা লুটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

জেলার নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের চরিলাম গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে আব্দুল আজিজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পোষ্ট অফিসে মেয়ের বিয়ের জন্য সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা সঞ্চয় করেন। মঙ্গলবার দুপুরে পোষ্ট অফিস থেকে সেই টাকা তুলে জামে মসজিদ রোড দিয়ে পায়ে হেঁটে প্রিমিয়ার ব্যাংকে যাওয়ার সময় অভিনব কায়দা সেই টাকা লুটে নেওয়া হয়।

আব্দুল আজিজ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পোস্ট অফিস থেকে সাড়ে ৯ লাখ টাকা তুলে পায়ে হেঁটে প্রিমিয়ার ব্যাংকে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে কেউ পেছন থেকে আমার শার্টে কিছু একটা ছুঁড়ে মারলে শাটর্টি ময়লা হয়ে যায়। বিষয়টি আমি আচ করতে না পারলেও পেছন থেকে এক অজ্ঞাত লোক আমাকে ডেকে বলেন শার্টে ময়লা লাগার কথা বলে। পরে আমি ময়লা ধোয়ার জন্য পাশের মসজিদে যাই। টাকার ব্যাগটি মসজিদের গেটের কাছে রেখে পাশের ওজুখানা থেকে শার্টের ময়লা ধুয়ে কয়েক মিনিট পর এসে দেখি ব্যাগটি নেই।

এরআগে, গতকাল সোমবার বেলা এগারোটার দিকে সরাইলে বকুল বেগম নামে এক নারী জনতা ব্যাংক সরাইল শাখা হতে পঞ্চাশ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। ব্যাংকের নীচে নামার পর পেছনে বকুল বেগমের বোরকায় সুকৌশলে নর্দমার ময়লা লাগিয়ে দেয়। এরপর এক ব্যক্তি তাকে বলে, ‘আপা আপনার বোরকার পেছনে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা লেগে আছে। আপনি আমার সাথে আসুন পাশেই মসজিদের পুকুরের ঘাটলায় গিয়ে বোরকায় লেগে থাকা ময়লা ধূয়ে নিন।’ সরল বিশ্বাসে বকুল বেগম মসজিদের ঘাটলার পাশে ওজুখানায় যায় এবং টেপে পানি ছেড়ে বোরকা থেকে ময়লা পরিস্কার করার সময় লোকটি তাকে বলে হাতে থাকা ব্যাগটি ভিজে যাবে, তার হাতে ব্যাগটি দিতে। বকুল বেগম ব্যাগটি দিয়ে বোরকা পরিস্কার করছিলেন। হঠাৎ তাকিয়ে দেখেন লোকটি নেই। শুধু চেইন খোলা ব্যাগ পড়ে আছে তাতে টাকা গুলো নেই।

এই বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে আমরা লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। তিনি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, প্রায় দুই বছর আগে একটি চক্র একই কায়দায় টাকা লুটে নিয়ে যেত। তখন তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আগের ঘটনা গুলো মাথায় রেখে আমরা অপরাধীদের আটক করতে অভিযান ইতিমধ্যে শুরু করেছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপরাধীরা আইনের আওতায় আসবেন।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, আমরা ঘটনাটি জানার পরই গুরুত্ব সহকারে দেখছি। সংশ্লিষ্ট থানা গুলোতে এই বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। -(সরোদ)