ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফার্মেসীগুলোকে পুনরায় “নাপা সিরাপ” বিক্রয় করতে নির্দেশনা দিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতি। গত সোমবার রাতে জেলা কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু কাউছার সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেয়া হয়। এর আগে দুই সহোদরের মৃত্যুর অভিযোগ উঠার পর গত শনিবার জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি জেলায় “নাপা সিরাপ” বিক্রয় বন্ধ রাখতে ফার্মেসীগুলোকে নির্দেশনা দেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু কাউছার বলেন, আশুগঞ্জে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনার পর আমরা ফার্মেসীগুলোকে “নাপা সিরাপ” সাময়িক বন্ধ রাখতে বলেছিলাম। যদি কোনো শিশুর ক্ষতি হয়- সেই চিন্তা থেকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছিলো।
গত সোমবার বিকেলে রাজধানীতে ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, “নাপা সিরাপ” পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কোন সমস্যা পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা পাওয়ার পর আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুনরায় “নাপা সিরাপ” বিক্রয় করতে ফার্মেসীগুলোকে চিঠি দিয়েছি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) রাতে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলায় ‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠার পর তা বিক্রি সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতি।
উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের দুই ছেলে ইয়াছিন খান-(৭) ও মোরসালিন খান- (৫) নাপা সিরাপ খেয়ে মারা যায় বলে অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।