‘দৌড়াদৌড়ি যখন করতেন না, কাগজ জমা দিয়া বাইরে জিগান কত টাকা লাগে। খোলাখুলি কই, আমরা জমা জমা এদিলে তো সিস্টেমে হইয়া জাগা। আমরা একজনকে ১০০, আরেকজনকে ২০০ করে দেই। এসিল্যান্ডও কিছু পায়। সরকার আইন করছে কিন্তু স্টাইল এইডা’ -কথা গুলো বলছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) আলমগীর মিয়া চৌধুরীর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় এই কর্মকর্তার একটি ভিডিওতে তাকে এসব কথা বলতে শোনা যায়। এনিয়ে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় চলছে।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভলাকূট ইউনিয়নের ভলাকুট গ্রামের শামীম আহম্মেদ। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, জমির খাজনা বাবদ (ভূমি উন্নয়ন কর) ১০ টাকার রশিদ দিলে ভলাকুটের তহশিলদার আলমগীর মিয়া চৌধুরীকে দিতে হয় ২/৩ হাজার টাকা। সাধারণ নামজারির জন্য ১১৭০ টাকার সরকারি ফির পরিবর্তে ৭/৮ হাজার টাকা দিতে হয়। তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল তৈরি করার অভিযোগ রয়েছে বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
তবে এসব অভিযোগ ভলাকুট ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) আলমগীর মিঞা চৌধুরী সাংবাদিকদের তিনি কাছে অস্বীকার করেন। ভিডিওটির তার বলে নিশ্চিত করে বলেন, এখানে কথা কাটছাঁট করা হয়েছে।
এই বিষয়ে নাসিরনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান খান শাওন বলেন, ভলাকুট ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এছাড়াও তার বক্তব্যের একটি ভিডিও পেয়েছি। এই ঘটনায় তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি তার নাম লেনদেনের উল্লেখ করার বিষয়ে বলেন, তারা অনেক অপকর্মে আমাদের নাম ব্যবহার করে থাকেন। অথচ বিষয় গুলো বিন্দুমাত্র আমরা অবগত নয়। এই ঘটনায় তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। -(সরোদ)