আদিত্ব্য কামাল : বন্দরে কর্তব্যরত অবস্থায় ক্রেনের ধাক্কায় ফুড ব্লগার রাব্বিরের মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের জুনিয়র আউটডোর অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কাজের ফাঁকে ফুড ব্লগিং করে পেয়েছিলেন ব্যাপক পরিচিতি।
বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঘন কুয়াশা ছিল।বন্দরের ২ নম্বর ইয়ার্ডে দায়িত্বরত অবস্থায় একটি ক্রেন পেছন থেকে সাব্বিরকে ধাক্কা দিলে মারা যান তিনি। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বন্দর ভবন চত্বরে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সূত্র জানায়, সিফাতের বাবা আবদুল আউয়ালও বন্দরে চাকরি করতেন। আড়াই বছর আগে মারা যান।
মা-বাবার এক ছেলে আর এক মেয়ের মধ্যে সবার ছোট সিফাত। কলেজিয়েট স্কুলের সাবেক এই ছাত্র পড়াশোনা করেছিলেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে (আইআইইউসি)। ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে চাকরিতে যোগ দেন তিনি।
বন্দরের হাইস্কুল কলোনিতে মা ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন সিফাত। মাত্র চার মাস আগে গত অক্টোবরে বিয়ে করেছিলেন তিনি।
২৭ বছর বয়সী সিফাত রাব্বির বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায়। নগরীর বন্দর আবাসিক এলাকায় থাকতেন তিনি।
তার মর্মান্তিক মৃত্যুতে বন্দর কলোনিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে ফুড ব্লগারকে হারানোর শোক। ইউটিউবে তার ক্ষুধার্ত খাদক নামের একটি চ্যানেল রয়েছে।
