ব্রাহ্মণবাড়িয়া ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ছাত্রলীগ নেতাকে পেটানোর অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 2 February 2022, 309 বার পড়া হয়েছে,

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে মো. আব্দুল্লাহ বিন মুন্সি নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বেধড়ক পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সালেক মূহিদের বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ।

আব্দুল্লাহ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরেরকাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়নের গোয়ালী গ্রামে।

বুধবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন আব্দুল্লাহ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কাইতলা দক্ষিণ ইউপি নির্বাচনের দিন (৩১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় গোয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বেরিয়ে আসি। ভোট দেওয়ার সময় ছাড়া আমি কেন্দ্রের আশেপাশেও যাইনি। বিকাল ৩টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সালেক মূহিদের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের একটি টিমকে কেন্দ্রে আসতে দেখা যায়। তখন আমি কেন্দ্রের নির্ধারিত ১০০ গজ সীমানার বাইরে অবস্থান করছিলাম। এ সময় একজন পুলিশ কনস্টেবলের মাধ্যমে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমাকে ভোটকেন্দ্রের দিকে আসতে বলেন।

আব্দুল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, আমি কেন্দ্রের সীমানার কাছাকাছি যাওয়ার পর কিছু বুঝে উঠার আগেই ম্যাজিস্ট্রেট আমার ওপর লাঠিচার্জ করার জন্য তার সঙ্গে থাকা ফোর্সকে নির্দেশ দেন। এ সময় চারজন বিজিবি সদস্য আমাকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। মারধরের কারণ জানতে চাইলে ওই ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘তুই ছাত্রলীগ করিস, অনেক বড় মাস্তান হয়ে গেছিস। ছাত্রলীগের হ্যাডাম বের করছি তোর।’ এরপর আমি ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা করেছি বলে আমার কোনো কথা না শুনেই ম্যাজিস্ট্রেট ফোর্স নিয়ে কেন্দ্র ত্যাগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের বিচার দাবি করেন ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীর ভাই মুন্সি সাব্বির আহমেদ, জেলা ছাত্রলীগের উপসমাজ সেবাবিষয়ক সম্পাদক শাহ জামালসহ তার সহকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সালেক মূহিদ বলেন, ‘উভয় পক্ষের লোকজন সেখানে জড়ো হওয়ার অবস্থায় ছিল। বৃহত্তর ক্ষতি এড়ানোর স্বার্থে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেওয়ার সময় হয়তো ওনি (আব্দুল্লাহ) আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন, যেহেতু ওনি সেখানে ছিলেন। কিন্তু তাকে বিশেষভাবে হামলার অভিযোগটি সঠিক নয়।