মো. রেজাউল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় বাকাইল গ্রামে প্রাইমারি, হাইস্কুল ও ঘনবসতিপূর্ণ গ্যাসফিল্ড সংলগ্ন এলাকায় ইটভাটা বন্ধের পর পুনরায় চালু করছে একটি অসাধু মহল। বাংলাদেশ সরকার যখন পরিবেশ ও জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে বাঁচার জন্য নানা রকম পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা গ্রহন করছে ঠিক সেই মুহুর্তে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইটভাটা নতুনভাবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য হুমকি স্বরূপ এবং অশনি সংকেত হিসেবে দেখছেন পরিবেশবিদরা।
মজলিশপুর ইউনিয়নের বাকাইল গ্রামে ফসলি জমি নষ্ট করে ইটভাটা করছে একটি প্রভাবশালী মহল। পরিবেশবিদরা বলছেন, ইটভাটার জন্য অবাধে দখল হচ্ছে ফসলি জমি। তাই বিস্তীর্ণ এই ফসলের ক্ষেতে হয়তো আর কখনই ফসল ফলবে না। এভাবে একের পর এক কৃষি জমি নষ্ট হতে থাকলে হুমকিতে পড়তে পারে খাদ্য নিরাপত্তা। অন্যদিকে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ইটভাটা তৈরি হলে ভাটার ধোঁয়ায় বিবর্ণ হবে গোটা এলাকা। এতে জন-জীবন পড়বে হুমকির মুখে।
তাঁরা আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকারের ইটভাটা সংক্রান্ত গেজেটে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে, কৃষি জমিতে ইটভাটা করা যাবে না, এক কিলোমিটারের মধ্যে স্কুল, মসজিদ, হাট বাজার ও ঘনবসতি থাকলে ইটভাটা গড়ে তোলা যাবে না। সরকারি এ আইনকে পাশ কাটিয়ে ইটভাটা নির্মাণ করছে একটি প্রভাবশালী মহল।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুল আমিন বলেন। ‘পবন ইটভাটা’র ছাড়পত্র বাতিল করা হয়েছে। তাদেরকে জরিমানাও করা হয়েছে। পবন ইটভাটা সরানোর জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জরিমানা-নোটিশের পর আবারও ইটভাটায় আগুন দেয়া হয়েছে, এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের করণীয় কি জানতে চাইলে- সংশ্লিষ্ট ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে মামলায় যাবার কথা জানানয় পরিববেশ অধিদপ্তর। এ ব্যাপারে পবন ইটভাটা মালিক মিজান মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলেও ফোন রিসিভ করেননি।