শেখ কামাল উদ্দিন,বিশেষ প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পশ্চিম ইউনিয়নের আকসিনা নিবাসী বিশিষ্ট সমাজসেবক, কসবার কৃতি সন্তান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা, কসবা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হামিদুল হক মাস্টার ১৮ জুন বুধবার ভোররাতে পৌরসদরের শীতলপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তিকাল করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তিনি স্ত্রী, ছয় ছেলে, চার মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

মানুষ গড়ার কারিগর শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি ইউপি চেয়ারম্যান, সমাজপতি, কসবার কৃতি সন্তান, কসবা সদরের বেশ ক’টি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা, সমসাময়িককালে সমাজের বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানকারী সর্বজন শ্রদ্ধেয় স্পষ্টভাষী ছিলেন আলহাজ্ব মো. হামিদুল হক মাস্টার। বৈরী আবহাওয়াসত্ত্বেও হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি প্রাণের প্রবীণ শিক্ষকের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে কল্যাণ কামনা করে নামাযে জানাযা আদায় করে।

শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর অবদান ছিল অসামান্য। শিক্ষকতা করেছেন খাড়েরা মোহাম্মদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও পানিয়ারূপ সিরাজুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ে। অবশেষে প্রতিষ্ঠা করেন; কসবা তফজ্জল আলী কলেজ, জয়নগর লিয়াকত আলী উচ্চ বিদ্যালয়, পানিয়ারুপ সিরাজুল হক উচ্চ বিদ্যালয়, কসবা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, কসবা পৌর উচ্চ বিদ্যালয়, আকছিনা-কুল্লাবাড়ি দাখিল মাদ্রাসা, শীতলপাড়া মসজিদ ও বিভিন্ন সামাজিক সংস্থা।
তিনি জনগণের জনদুর্ভোগ লাঘবের প্রত্যয়ে জনপ্রতিনিধি মনোনীত হয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তিনি কসবা উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন। জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করে সকল শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে জননন্দিত হয়েছিলেন।

বুধবার বাদ আছর কসবা তফজ্জল আলী কলেজ মাঠে মরহুমের নামাযে জানাযার অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও সর্বস্তরের জনগণ অংশ নেন। পরে তাঁকে নিজ গ্রাম আকছিনার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

মরহুমের মৃত্যুতে কসবায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কসবা উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। মরহুম মো. হামিদুল হক মাস্টার’র ছেলে মনিরুল হক সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।