আবদুল্লাহ আল-নাঈম : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রাজঘর গ্রামের এক পরিবার একসপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। তাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার একমাত্র রাস্তাটির ওপর বাঁশের বেড়া দিয়ে রেখেছে প্রভাবশালী প্রতিবেশী। ফলে নিজ বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না রাজঘর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল মিয়ার ছেলে কাজল মিয়া ও তার পরিবার।
সরজমিনে প্রত্যক্ষ করে দেখা গেছে কাজল মিয়ার বাড়ির পেছনে পুকুর ঘেঁষা হাঁটা চলার জন্য প্রায় দুই ফুট একটি প্রশস্ত রাস্তা গ্রামের মূল সড়কের সাথে গিয়ে মিশেছে। এই সড়কে যাওয়ার আগে অভিযুক্ত প্রতিবেশী বাঁশের বেড়া দিয়ে রেখেছেন একসপ্তাহ যাবত। ফলে নিজের চিকিৎসাসহ পরিবারের অন্যান্য প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না তারা।
কাজল মিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়- প্রায় বছরখানেক যাবত প্রতিবেশী মৃত নাজির হোসেনের ছেলে মাহবুব শরীফ ও তার স্ত্রী রনি আক্তার, শাহজালালের স্ত্রী তানজিনা আক্তার সুমি, তাদের ছেলে আদিব মিয়ার সাথে চলাচলের এই রাস্তা নিয়ে বছরখানেক যাবত নানান ঝামেলা চলছিল কাজল মিয়ার।
উক্ত প্রতিবেশীরা তাদের বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার জন্য কাজল মিয়ার কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। এই টাকা না দেওয়ায় কিছুদিন পরপরই তাদের ঝগড়াঝাটি বাদ-বিতণ্ডা লেগেই থাকে।
একাধীক মামলার আসামী ও প্রভাবশালী হওয়ায় মাহবুব শরিফ কাজল মিয়া ও তার পরিবারকে বেশ কয়েকবার প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছেন। প্রায় চার মাস আগে কথাকাটির এক পর্যায়ে মাহবুব শরীফ কাজলমিয়াকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।
সেসময় অসহায় কাজল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ নং সিআর ১৮৪৪/২৪২। তারিখ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন কয়েকবার মীমাংসার উদ্যোগ নেয়। উভয়পক্ষ আমিন নিয়ে মাপ যোগ করে মাহবুব, শাহজালালের তৈরিকৃত বেড়া কাজল মিয়ার জায়গায় পড়েছে বলে মতামত দেয়। তারা তাৎক্ষণাৎ একটি বেড়া সরিয়ে দিলেও আরেকটি বেড়া পরেরদিন খুলে ফেলা হবে বলে রাজি হলেও এখন সেই বেড়া খোলেনি তারা। উপরন্ত গত সপ্তাহে আবারো চলাচলের স্থানে বেড়া দিয়ে বাধা সৃষ্টি করে রেখেছে মাহবুব শরীফ ও শাহজালাল গং।
কাজল মিয়ার তিন ছেলে প্রবাসী এবং তারা প্রত্যেকেই অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল। ফলে ভয় দেখিয়ে, প্রভাব খাটিয়ে কাজল মিয়ার কাছ থেকে টাকা আদায় করার উদ্দেশ্যেই হীনো পায়তারা করছে অভিযুক্তরা। সমস্যা সমাধানে নিরুপায় কাজল মিয়া প্রশাসনসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তা চাইছেন।