ঢাকাই সিনেমার নায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তার স্বামী নোবেল ও গাড়িচালক ফরহাদকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। কিছুক্ষণ পর এই হত্যাকাণ্ড, আটক দুই ব্যক্তি ও এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে সংবাদ সম্মেলন করবেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কেরানীগঞ্জের ওসি মো. আবু সালাম মিয়া। তিনি মঙ্গলবার সকালে যুগান্তরকে বলেন, শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার স্বামী ও গাড়িচালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। এ হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের গ্রেফতার দেখানো হবে।
এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি বলে জানান ওসি আবু সালাম। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর কলাবাগানের বাসায় থাকতেন ৪০ বছর বয়সি শিমু। রোববার থেকে নিখোঁজ হন শিমু। এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এর পর দিন শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন গত রাতে জানিয়েছেন, তার ভগ্নিপতি নোবেল প্রায়ই শিমুকে মারধর করতেন। সে মাদকাসক্ত। র্যাব ও পুলিশের কাছে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মো. আবু সালাম মিয়া আরও জানান, লাশ বস্তায় ভরে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছিল। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বস্তার ভেতর থেকে খণ্ডিত অংশগুলো উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমা দিয়ে ১৯৯৮ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে শিমুর। পরের বছর দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, চাষি নজরুল ইসলাম, শরিফ উদ্দিন খান দিপুসহ আরও বেশ কিছু পরিচালকের প্রায় ২৫টি সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রে দেখা যায় তাকে। শাকিব খান, অমিত হাসানসহ কয়েকজন তারকার সঙ্গেও কাজ করেছেন শিমু।