এহসানুল হক রিপন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক ও ঢাকা সিলেট মহাসড়কের দু’পাশ জুড়ে চলছে জমজমাট ইট বালুর ব্যবসা। আর এই অবৈধ ভাবে ইট বালুর ব্যবসার খেসারত দিচ্ছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, পথচারী, যাত্রী ও যানবাহন চালকরা।শুধু তাই নয়, ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ-তিনগুণ বালু ট্রাকে বহন করায় নানা স্থানে পাকা সড়কের পাশ দেবে নতুবা ভেঙে যাচ্ছে। ব্যস্ত সড়কের পাশে বালুর ব্যবসা করার অনুমতি না থাকলেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ প্রশাসনের চোখের সামনে প্রকাশ্যে চলছে এই ব্যবসা। দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অবৈধ এই ব্যবসার পরিধি। ফলে একদিকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পথচারীরা অন্যদিকে প্রতিনিয়তই ছোট-বড় দুর্ঘটনায় পড়ছে বিভিন্ন যানবাহন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে সরাইল উপজেলার আঞ্চলিক সড়ক ও ঢাকা সিলেট মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার উচালিয়াপাড়া,বড্ডাপাড়া,কুট্টাপাড়া,ইসলামাবাদ, বাড়িউড়া, শাহবাজপুর, রাজাবাড়িয়া,বৈশামুড়াসহ সড়ক-মহাসড়কের দু’পাশ জুড়ে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় অনেক অবৈধ ইট, বালুর ও গাছের ব্যবসা।
এছাড়াও রয়েছে বিজয়নগর উপজেলার রামপুর,চান্দুরা, বুধন্তি,ইসলামপুর,সাতবর্গ এলাকায় ঢাকা সিলেট মহাসড়কে গড়ে উঠেছে অবৈধ ভাবে ইট বালু ব্যবসা। ঢাকা সিলেট মহাসড়ক এখন ইট বালু ব্যবসার কেন্দ্র। সড়ক-মহাসড়কের পাশে কিংবা ব্যক্তিগত জমির ওপর এসব ব্যবসা গড়ে তোলা হলেও প্রশাসন কিংবা পরিবেশ অধিদফতর থেকে নেয়া হয়নি কোনো ধরনের অনুমতিপত্র।
অনুসন্ধানে জানা গেছে মহাসড়কে গাছ বালু ইট ব্যবসায়ীরা হলেন, বাড়িউড়া বাজারে বাবুল সরদার,কামাল,হারুন গাছ ব্যবসায়ী,এনাম খা,রফিক, জুয়েল, আবু সায়েদ বালু ব্যবসায়ী। শাহবাজপুরের গাছ ব্যবসায়ী নিয়ামত হাজী,বালু ব্যবসায়ী এলু মিয়া, নাদিম মিয়া,ফজল হক,মারুফ ও নওয়াব এ সিন্ডিকেট অবৈধভাবে এ ব্যবসা করে আসছে। এছাড়াও বিজয়নগর রামপুর এলাকায় কাজী রহিম, কাজী দারু মিয়াসহ কয়েকজনের একটি সিন্ডিকেট অবৈধভাবে এ বালুর ব্যবসা করে আসছে।
পথচারী কামাল বলেন,সড়কের পাশে বালু স্তূপ করে রাখায় সারাক্ষণই বাতাসে উড়ে বেড়াচ্ছে বালু। তাছাড়া সড়কের পাশে বালুর ব্যবসা করায় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকেও। এতে করে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের চোখে মুখে ঢুকে পড়ে বালু। তাছাড়া রাস্তার পাশে গাছ ও ইট বালু থাকায় গাড়ি ওভারটেক করতে গিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এমনকি দুর্ঘটনায় প্রাণও হারাচ্ছে মানুষ।মাসের পর মাস মহাসড়কের উপর অবৈধ ব্যবসা চলে, উপজেলার কুট্টাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, সড়কের পাশে বালু ব্যবসায় গড়ে তোলায় আমাদের স্কুলে যাওয়া আসার পথে অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বাতাসে বালু উড়ে আমাদের চোখে মুখে যায়। এতে করে আমরা সর্দি-কাশিসহ নানা শ্বাসজনিত রোগে ভুগতে হচ্ছে। আমরা সড়কের পাশে অবৈধ এই বালু ব্যবসা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। প্রশাসনের ভূমিকা না থাকায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অবৈধ এই ব্যবসা।
এ বিষয়ে জানতে সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আমি আসছি গত কয়দিন হলো এ বিষয়ে আমি অবগত না, এখন শুনেছি দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেব।