আদিত্ব্য কামাল,জনতার খবর : ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিবাসী মনির হোসেন পেশায় ছিলেন একজন অটোরিকশা চালক, আর তার স্ত্রী রহিমা বেগম চম্পা পেশায় গৃহিনী। খুবই সাধারণ এ দম্পতি গত ৫-৬ বছরে যেন হাতে পেয়েছে আলাদিনের চেরাগ! মালিক হয়েছে একাধিক বাড়ির। এছাড়াও রয়েছে তাদের মালিকানাধীন অনেক জমিজমাও। তবে তাদের এ বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হওয়ার বিষয়টি ছিল অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা অবাধে চালাচ্ছিলেন মাদক ব্যবসা। এর আগে একাধিকবার গ্রেফতার হলে বেরিয়ে গেছেন বিভিন্ন ফাঁক-ফোকর গলিয়ে। তবে এবার এ দম্পতি ধরা পড়েছে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জালে।
বুধবার নিজ বাড়ি থেকে মনির হোসেন ও তার স্ত্রী রহিমা বেগম ওরফে চম্পাকে ২০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এছাড়া এই দম্পতির কাছে মাদক সরবরাহ করতে এসে আটক হয়েছেন আরেক চিহ্নিত মাদক কারবারি বানেছা বেগম (৪৮)।
বৃহস্পতিবার তাদের ব্রাহ্মণবাড়ি
মনির হোসেন সেমন্তঘর গ্রামের মৃত মনা মিয়ার ছেলে ও পৌর এলাকার গোকর্ণঘাটের বাসিন্দা। আর গ্রেফতার বানেছা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের দক্ষিণ পৈরতলার মৃত হুমায়ুন মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, গত ৮-৯ বছর আগেও রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন মনির হোসেন। স্ত্রী রহিমা বেগমকে নিয়ে বসবাস করতেন পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট গ্রামে। প্রায় ছয় বছর আগে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন এই দম্পতি। গোকর্ণঘাট ও ছয়বাড়িয়া গ্রামে তাদের এখন তিনটি বাড়ি রয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন মানুষের আনাগোনায় স্থানীয়রা তাদের মাদক ব্যবসার বিষয়টি জানতে পারেন। যথাযথ প্রমাণ না থাকায় একাধিকবার মনির ও রহিমা দম্পতিকে ধরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কেলের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, মনির ও চম্পা দম্পতিকে বুধবার সকালে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। বিকালে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করার পর তাদের সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় অভিযোগ ছিল।