সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৯ সিপিসি-১ এর কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান ও মিডিয়া অফিসার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আফসান-আল-আলম উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেফতাররা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মৃত হেলিম ভূঁইয়ার ছেলে এজহারনামীয় আসামি জাকির হোসেন জাক্কু (৪৮), একই গ্রামের হাজী আমির আলী ভূঁইয়ার ছেলে মাহবুবুল আল শিমুল (৩৩), উপজেলার চাওড়া দৌলতবাড়ী আব্দুর রহমানের ছেলে সুমন (৩৫) ও কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বিংলা বাড়ির মৃত শিরু মিয়ার ছেলে বর্তমানে চাওড়া দৌলতবাড়ীর বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম রিমন (২০)।
র্যাব-৯ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মুমিনুল হক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত শনিবার রাতে ইসলামী বক্তা মাওলানা মুফতি শরীফুল ইসলাম নুরী (৩৮) তার সহযোগী একজনসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল এলাকার দৌলতবাড়ী দরবার শরীফের মাহফিল শেষে মোটরসাইকেল করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আজমপুরের রামধ নগর রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছলে তার ওপর হামলা চালায়। মাওলানা শরীফের মুখে আঘাত করলে জিহ্বা কেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা রক্তাক্ত গুরুতর জখম হয়।
পরদিন রোববার এ ঘটনায় মাওলানা শরীফের চাচা মো. আব্দুল বাছির ভূঁইয়া বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ২ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সূত্র ধরেই আসামিদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা ব্যাপকভাবে জোরদার করে।
এদিকে মুফতি শরীফুল ইসলাম নুরী ওপর হামলা ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের বিচারের দাবিতে বুধবার সকালে আখাউড়া পৌরশহরের দুর্গাপুর এলাকায় মানববন্ধন করার চেষ্টা করেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত ও স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে আখাউড়া থানা পুলিশের বাধায় পড়েন মানববন্ধনকারীরা।