সুযোগ পেলেই একটি মহল অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ভুলণ্ঠিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয় বলে অভিযোগ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া খেলাঘর আয়োজিত দুই যুগপুর্তি ও সম্মেলন উপলক্ষে আজ শুক্রবার দুপুরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ অভিযোগ তুলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিলো তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছিলো। তারা দেশকে একটি ব্যর্থ, অকার্যকর রাষ্ট্র্রে পরিণত করতে চেয়েছিলো। দেশের একশ্রেণির আলেম ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন। মূলত ধর্ম নিরপেক্ষতা মানে, ধর্মহীনতা নয়। যার যার ধর্ম সে পালন করবে। কেউ কারো ধর্ম পালনে বাঁধা দিবেন না।
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। জেলা খেলাঘরের সভাপতি ডা. আবু সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী, কেন্দ্রীয় খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক প্রণয় সাহা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন ও এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পরিচালক অঞ্জন মল্লিক।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জেলা খেলাঘরের উদ্যোগে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিকেলে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দ্বিতীয় অধিবেশনে ডা. আবু সাঈদকে সভাপতি ও নীহার রঞ্জন সরকারকে সাধারন সম্পাদক করে ৬১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সন্ধ্যায় ভাষা চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন। অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন স্কুল স্টুডেন্ট কেবিনেটের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীদেরকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।