তালিকায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর শ্রেণিতে রয়েছে আল মুরসালাত মিডিয়া। এটির ধরন মিডিয়া শাখা। বাংলাদেশ, ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ায় সক্রিয় এবং ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। রয়েছে দক্ষিণ এশিয়াভিত্তিক হরকাতুল জিহাদ ইসলামী বাংলাদেশ, এদের বিরুদ্ধে আলকায়দার কেন্দ্রীয় কমান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা জানিয়েছে ফেসবুক। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াভিত্তিক ইসলামিক স্টেট বাংলাদেশ, যা আইএসের সঙ্গে যুক্ত। আছে জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ।
তালিকায় আরও রয়েছে-বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানভিত্তিক জেমাহ ইসলামিয়া, জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ ও আলকায়দা কেন্দ্রীয় কমান্ডের সঙ্গে যুক্ত সাহাম আল হিন্দ মিডিয়া। যা একটি মিডিয়া উইং বলে তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
তালিকায় ব্যক্তি হিসাবে জমিয়তুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের তরিকুল ইসলামেরও নাম রয়েছে।
ফেসবুকের এ তালিকা প্রকাশের জন্য দীর্ঘদিন ধরে বিশেষজ্ঞরা দাবি জানিয়ে এলেও কোম্পানিটির দাবি ছিল এতে করে তাদের কর্মীরা ঝুঁকিতে পড়বে। তবে কোম্পানিটির ওভারসাইট বোর্ড জনস্বার্থে আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকাটি প্রকাশের সুপারিশ করেছে। ফেসবুকের বিপজ্জনক ব্যক্তি ও সংগঠন নীতি অনুসারে, তালিকায় থাকা কেউ ফেসবুকে নিজেদের উপস্থিতি নিষিদ্ধ এবং কোনো ব্যবহারকারী এমন গোষ্ঠী বা ব্যক্তির প্রতিনিধি হতে পারবেন না। কোনো ব্যবহারকারী এসব ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর পক্ষে কিংবা সমর্থন অথবা প্রশংসা করে কিছু লিখতে পারবেন না।
কোম্পানিটির কাউন্টার সন্ত্রাস দমন ও বিপজ্জনক সংগঠন বিষয়ক নীতি বিষয়ক পরিচালক ব্রায়ান ফিশম্যান এক বিবৃতিতে বলেন, কোম্পানি এ তালিকা গোপন রাখে কারণ এটি শত্রুতাপূর্ণ ক্ষেত্র। তাই আমরা যতটা সম্ভব স্বচ্ছতা বজায় রাখার চেষ্টা করি। আমরা সন্ত্রাসী, বিদ্বেষী গোষ্ঠী ও অপরাধী সংগঠনকে আমাদের প্ল্যাটফরমে চাই না। তাই আমরা এগুলোকে নিষিদ্ধ করেছি এবং তাদের প্রশংসা, প্রতিনিধিত্ব ও সমর্থনে যে কোনো কনটেন্ট আমরা অপসারণ করি। তিনি আরও বলেন, ফেসবুকে সাড়ে তিন শতাধিক বিশেষজ্ঞ এসব সংগঠনকে থামাতে ও হুমকি মোকাবিলায় কাজ করছেন। আমরা এখন কয়েক হাজার সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছি। এর মধ্যে রয়েছে আড়াই শতাধিক শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী সংগঠন। আমরা নিয়মিত আমাদের নীতি এবং কোনো সংগঠন নিষিদ্ধ হওয়ার মতো তা হালনাগাদ করি।