মোঃ নিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : সাম্প্রতিক সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন রেলস্টেশনে সংঘবদ্ধ কালোবাজারি চক্র অবৈধ ভাবে ট্রেনের টিকেট জনসাধারণের কাছে অধিক মূল্যে বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কাউন্টারে টিকেট সংকটের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এই চক্রগুলো বেশ সক্রিয়। তারা অনলাইনে ভিন্ন ভিন্ন জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করে টিকেট সংগ্রহ করে বেশি দামে সাধারণ যাত্রীদের কাছে বিক্রি করছে।
এসকল কালোবাজারিদের গ্রেফতারে র্যাব-৯ তার গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। দীর্ঘদিন নজরদারিতে রাখার পর এরকম একটি সংঘবদ্ধ কালোবাজারি চক্রের সন্ধান পায় র্যাব-৯।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোম্পানির একটি আভিযানিক দল গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল আনুমানিক ৯.৩০ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া রেলওয়ে থানাধীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি চক্রের ৫ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় তাদের নিকট থেকে নিজের ব্যবহৃত স্মার্টফোন ব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে সংগ্রহ করা বিভিন্ন তারিখ ও সময়ের ১২৯ টি আসনের ৫৯ টি অনলাইন টিকেট, ৭ টি মোবাইল ফোন এবং টিকেট বিক্রয়ের নগদ ৪৮ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন – মোঃ আব্দুল হাকিম (৩৫), পিতা- শহিদ মিয়া, মোঃ জাকির হোসেন (৪৮), পিতা- ওসিউর রহমান, মোঃ রুবেল মিয়া (৩২), পিতা- নুরুল ইসলাম, মোঃ শাহিন মিয়া (৪০), পিতা- মৃত মাহাতাব উদ্দিন। সর্ব থানা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, মোঃ সাজ্জাদ মিয়া (২৮), পিতা- মৃত সামছু মিয়া ওরফে মুর্শিদ মিয়া,
থানা- কসবা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামীরা অবৈধভাবে লাভবান হবার জন্য দীর্ঘদিন যাবত পরস্পর যোগসাজশে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি করে আসছিল। চক্রের অন্যান্য সদস্য এবং যেকোন পর্যায়ের কালোবাজারির সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে র্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা নজরদারি এবং অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(১)/২৫(উ) ধারায় মামলা দায়ের পূর্বক (মামলা নং-০৮, তারিখ-২৫/০২/২০২৪ খ্রিঃ) আসামী এবং জব্দকৃত টিকেট ও অন্যান্য আলামত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।