এসোসিয়েট প্রেসের খবরে বলা হয়েছে, মারা যাওয়াদের মধ্যে তুরস্কের ৩ হাজার ৪১৯ জন ও সিরিয়ায় এক হাজার ৬০২ জন। আহত হয়েছেন ১৮ হাজারের বেশি মানুষ। সিরিয়া ও তুরস্কের উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংস্তুপের নিচ থেকে হতাহতদের খুঁজে বের করতে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সোমবারের এই ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কেই ৬০০০ বাড়িঘর ধসে পড়েছে। ২০০র মতো আফটার শক হয়েছে।
এখনও ধ্বংসস্তুপের ভেতরে আর্তকান্না শোনা যাচ্ছে বলে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন।
মৃত্যুর দোরগোড়া থেকে ভাগ্যজোরে বেঁচে ফেরা সেসব তুর্কি ও সিরীয়রা জানিয়েছেন তাদের ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের গা শিউরে ওঠা বাস্তবতা।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপ শহরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পের পর আরো অন্তত ৭৭টি আফটারশক (পরাঘাত) অনুভূত হয়, যার মধ্যে তিনটি ছিল রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার বেশি। আবার একটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫।
এদিকে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কে উদ্ধার কার্যক্রমে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে একটি উদ্ধারকারী দল যাচ্ছে। এতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের পাঁচজন করে সদস্য থাকবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি বিমানে (সি-১৩০) দলটি বুধবার তুরস্ক যাবে। প্রাথমিকভাবে ১০ জনের দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা এ কথা বলেন।