ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকারের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বিভূতি ভূষণ দেবনাথ, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এএসএম শফিকুল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রণয় চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়ামিন হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের জিপি অ্যাডভোকেট ওয়াসেক আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ডা. আবু সাঈদ।
নাগরিক সম্মিলনীর আয়োজন সাংবাদিক মনজুরুল আলমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া, মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সেক্রেটারি আ ফ ম কাউসার এমরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হুরায়রা, আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান সরকার, প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি ইব্রাহীম খান শাদত, বাচিক শিল্পী সাংবাদিক মনির হোসেন, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম, ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক, জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, গীতিকার আনোয়ার হোসেন সোহেল, চ্যানেল আই দর্শক ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসানুল নবী মোবারক।
এতে উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পাদক ও প্রকাশক দেওয়ান ফায়জুন নাহার, জনতার খবর এর নির্বাহী সম্পাদক- এইচ,এম জাকারিয়া জাকির, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জাদুঘর সেলিম, দৈনিক প্রজাবন্ধু’র নির্বাহী সম্পাদক- এইচএম সিরাজ, দৈনিক প্রতিদানের সংবাদ এর জেলা প্রতিনিধি মুজিবুর রহমান, যমুনা টেলিভিশনের নিজস্ব প্রতিবেদক শফিকুল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজ সেবিকা কোহিনূর আক্তার প্রিয়া, জেলা নাগরিক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক- আব্দুল মতিন শিপন, কবি রোকেয়া রহমান, সানলাইফ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা পরিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন, বিশিষ্ট কণ্ঠ শিল্পী পারভিন সুলতানা, সঙ্গীত শিল্পী হৃদয় কামাল, সেচ্ছাসেবক নেতা আরিফুল ইসলাম, মুক্তধারা সাহিত্য অঙ্গনের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী প্রমূখ।
এসময় বিদায়ী পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, আমার এসপি হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পোস্টিং অনুমোদন করার পর এই জেলার ইতিহাস জেনেছি। তখন একটি বিষয় জেনেছিলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ প্রচন্ড মেধাবী। বাংলাদেশ সরকারের অনেক জায়গায় বড় বড় পদে আছেন। তখন ভেবে দেখলাম যদি কোন এলাকার মানুষ মেধাবী হয়, নিশ্চয় তারা ভাল মানুষ। আরেকটা জিনিস আরেক জায়গায় লেখা পেয়েছিলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মানুষ যাদের আপন করে নেন তাদের মনে প্রাণে নেন। এই দুইটা বিষয় বিচার বিবেচনা করে আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় আসি।
তিনি বলেন, আমি এই জেলা পোস্টিং হওয়ার পর একা থেকেছি। আমার দুই কন্যা এবং স্ত্রী থাকেন ঢাকায়। ২০১৯ সালের ২৭ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যোগদানের পর এই জেলার প্রত্যেকে আমার পরিবারের সদস্য হিসেবে মেনে নিয়েছি। আজকের অতিথিদের বক্তব্যের মাধ্যমে আপনারা আমাকে ঋণী করে দিয়েছেন।
বিদায়ী পুলিশ সুপার মো. আনিস আরও বলেন, আমি সত্যিকার অর্থে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাগরিক। যখন ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে নিয়ে কেউ কোন কথা বলতো, আমাকে দাঙ্গা এলাকার এসপি বলতো, তখন আমার প্রচন্ড কষ্ট হতো। আমি প্রতিবাদ করতাম। এখন কিন্তু সেই কথা বলে না। আমি এই জেলার নাগরিক হিসেবে, আপনাদের সন্তান হিসেবে, আপনাদের ভাই হিসেবে সারা জীবন থাকতে চাই। আমার স্মৃতিতে ও ভালবাসায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে কখনো ভুলার নয়, ভুলবো না। আপনারা অনেক প্রশংসা করেছেন, এর অধিকারী আমি না। আপনারা ভালবাসার বন্ধনে আমাকে আবদ্ধ করেছেন।
পরে বিদায়ী পুলিশ সুপারকে ফুলেল শুভেচছা ও ক্রেস্ট প্রদান করে সম্মাননা জানান উপস্থিত অতিথিরা।