দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি এ পূর্বাভাস দিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসমতে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং এর কাছাকাছি মধ্য-বঙ্গোপসাগর এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে দেশের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। পরবর্তী তিন দিনে সারা দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে রোববার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকার ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ কমিটির নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
আজিজুর রহমান বলেন, অক্টোবর মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে হতে পারে।
তিনি জানান, অক্টোবরের দ্বিতীয়ার্ধের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষা) বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে পারে। এ মাসে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ২ থেকে ৩ দিন বিজলি চমকানোসহ মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় এবং সারা দেশে ৩ থেকে ৪ দিন বিজলি চমকানোসহ হালকা বজ্রঝড় হতে পারে। এ মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা কিছুটা বেশি থাকতে পারে।
অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান আরও বলেন, চলতি মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোতে স্বাভাবিক প্রবাহ থাকতে পারে। তবে ভারি বৃষ্টিপাতজনিত কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল (রংপুর অঞ্চল), উত্তর-পূর্বাঞ্চল (সিলেট অঞ্চল) ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় (চট্টগ্রাম অঞ্চল) কিছু কিছু স্থানে স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।