জুয়েল মিয়া,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মিনারা বেগম নামে এক বিধবার বসতঘর পুড়িয়েছে দুর্বৃত্তরা। মিনারা বেগম পৌরসভার টানপাড়া গ্রামের মৃত জালাল মিয়ার স্ত্রী। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
এর আগে গত শনিবার রাতে তাকে মারধর ও বসত ঘর কুপিয়ে ভাংচুর করায় একই এলাকার সাচ্চু মিয়া ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে মামলা করলে জামিনে বের হয়ে আগুন দিয়ে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয় তার।
জানা যায়, বিগত ৬ বছর আগে মিনারা বেগমের স্বামী জালাল মিয়া মারা যায়। দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে তিনি বহু কষ্টে জীবন যাপন করছে। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে পাশর্বর্তী বাড়ির সাচ্ছু মিয়া বিভিন্ন অজুহাতে তার বাড়িতে আসা যাওয়া করে। এক পর্যায়ে সাচ্ছু মিয়া মিনারা বেগমকে কুপ্রস্তাব দেয়। কিন্তু মিনারা বেগম সাচ্ছু মিয়াকে মামু ডাকায় সে প্রস্তাবে রাজি হয়নি। পরে সাচ্ছু মিয়া তাকে বিয়ের লোভ দেখায়। তাতেও মিনারা বেগম রাজি না হওয়ায় সাচ্ছু মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। মিনারা বেগমের বাড়িতে কোন লোকজন গেলে উস্কানিমূলক কথা বলে তাকে হুমকি ধমকি ও গালিগালাজ করে। কীভাবে বাড়িতে থাকে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেয় সে। এঘটনার জের ধরে গত শনিবার তারাবি নামাজের সময় সাচ্ছু মিয়া ও তার লোকজন মিনারা বেগমের বাড়িতে হামলা করে কুপিয়ে টিনের চাল ও বেড়া ভাঙচুর করে। বসত ঘরের টিভি, ফ্রিজসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে ক্ষতি করে।
জানতে চাইলে ভূক্তভোগী মিনারা বেগম বলেন, সাচ্ছু মিয়া একজন উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি। সে দুই বিয়ে করেছে। আমাকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দেয়। আমি রাজি না হওয়ায় হামলা করে আমি ও আমার মেয়েকে মারধর করেছে। আমার ঘরে ভাংচুর করে। নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নিয়েছে। আমি আইনের কাছে ন্যায় বিচার চাই।
এ ব্যপারে আখাউড়া পৌরশহরের ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাকদির খান খাদেম বলেন, আমি বিষয়টি বসে মিমাংসার জন্য সাচ্ছু মিয়াকে বলেছিলাম। কিন্তু সে বসতে রাজি না হওয়ায় সমাধান করতে পারিনি।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত সাচ্ছু মিয়া বলেন, আমি মিনারাকে মারধর করি নাই। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
এ ব্যপারে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর একজনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল।