প্রায় ৭-৮ বছর আগে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরির সুবাধে পরিচয় হয়ে তাদের বিয়ে হয়েছিল বলে জানায় প্রতিবেশীরা।
গৃহবধূর দেবর রবি মিয়া জানায়, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের জেরে সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাতে কেরির বড়ি খেয়ে ফেলে তার ভাবী তাজনুর নাহার। বিষয়টি টের পাওয়ার পর রাত ৯টার দিকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। অ্যাম্বুলেন্সে করে সেখানে নেওয়া হলে ভোরে মারা যান তাজনুর নাহার। পরে সেখান থেকে ওই অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নিয়ে আসার পথেই কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের চাপানগর এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ময়নাল মিয়া (৩০) নামে এক ট্রাক্টর শ্রমিককে সজোরে ধাক্কা দিলে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সটি গাছের সাথে ধাক্কা লেগে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে চালকসহ আরও দুজন পথচারী আহত হন। পরে অপর একটি গাড়িতে করে বিকেলে গৃহবধূর মরদেহ তার স্বামীর বাড়িতে আনা হয়।
নিহত গৃহবধূর পিতা আজহার আলী জানায়, স্বামী ও শাশুড়ি প্রায় সময় তাদের মেয়েকে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত বলে জানাত তার মেয়ে। তারা নির্যাতন করে মেরে কেরির বড়ি খেয়ে মারা যাওয়ার কথা বলছে। আমি এ ঘটনার ন্যায় বিচার চাই।
কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, গৃহবধূ মৃত্যুর ঘটনায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।