চোখের কর্নিয়া হারানো ব্যবসায়ী সজিব কর্মকার জেলা শহরের পূর্ব পাইকপাড়ার সুধাংশু কর্মকারের ছেলে। তিনি শহরের পুরাতন সিনেমা হল রোডে ইলেকট্রনিক মালামাল ব্যবসায়ী। এই ঘটনায় তার বড় ভাই রাজিব কর্মকার বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় ৩জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
হামলার শিকার সজিবের বড় ভাই মামলার বাদি রাজিব কর্মকার জানান, আমি ও আমার ছোট ভাই সজিব সিনেমা হল রোডে উজ্জল ইলেকট্রনিক নামের একটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা করে আসছি। আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আশপাশে শহরের কান্দিপাড়ার কেশব কর্মকার নামে এক যুবক তার সঙ্গীদের নিয়ে মাদক ব্যবসা করে আসছিল। এতে এই এলাকার বাসা বাড়ি সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি ও ছিনতাইসহ অপকর্ম বাড়ছিল। গত একবছর আগে আমরা দুই ভাইসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী ও মহল্লাবাসী সদর মডেল থানায় মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করি। এর প্রেক্ষিতে মাদক ব্যবসায়ী কেশব থানায় এই জাতীয় অপরাধ করবে না মর্মে মুচলেকা প্রদান করে ছাড় পায়। এরপর থেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে নানান সময় আমি ও আমার ভাইকে মাদক ব্যবসায়ীরা হুমকি প্রদান করে আসছিল।
তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারী রাতে আমার ভাই দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ফরিদুল হুদা ক্লিনিকের সামনে কেশব কর্মকার তার ভাই মাধব কর্মকারকে সাথে নিয়ে দলবদ্ধ ভাবে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ হামলা করে। এসময় তারা আমার ভাইকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়। এই ঘটনায় আমার ভাইয়ের চোখ, নাক-ঠোঁট সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়। বিশেষ করে চোখের উপর কুপ পড়ায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেন। ঢাকায় চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার বাম চোখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে গেছে। চিকিৎসকদের পরামর্শে আমার ভাইকে ভারতের চেন্নাইয়ে শঙ্কর নেত্রালয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছি। সেখানেও চিকিৎসকরা একই কথা জানিয়েছেন। চেন্নাই থেকে তাকে হায়দ্রাবাদে চিকিৎসকরা পাঠিয়েছেন। বর্তমানে সে হায়দ্রাবাদে চিকিৎসাধীন আছেন।