৫৭টি জেলা পরিষদের মধ্যে ২৬টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আগেই। বাকি ৩১টির ফলাফলও ইতোমধ্যে চলে এসেছে। এই নির্বাচনেও বিরোধী দল বিএনপি কোনো প্রার্থী দেয়নি। জাতীয় পার্টি কিছু এলাকায় প্রার্থী দিলেও তেমন আলোচনায় ছিল না। মূলত বেশির ভাগ স্থানেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে দলটির বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়, যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে অংশ নেন। এর মধ্যে ১০টি জেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বাকিরা সবাই আওয়ামী লীগের। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ যেসব জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলোর ফলাফল নিম্নে তুলে ধরা হলো-
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আল-মামুন বিজয়ী : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আল মামুন সরকার ৮২০ পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী শফিকুল আলম পেয়েছেন ৫৭৭ ভোট। বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল :- নাসিরনগর উপজেলায় আল মামুন সরকার ৭১ ভোট ও শফিকুল আলম ৯৬ ভোট, সরাইলে আল মামুন সরকার ৫০ ও শফিকুল আলম ৬৯, সদর উপজেলায় আল মামুন সরকার ৭৪ ও শফিকুল ৮৮, বিজয়নগরে আল মামুন সরকার ৬৯ ও শফিকুল ৬৩, আশুগঞ্জে আল মামুন সরকার ৭০ ও শফিকুল ৩৬ ভোট, আখাউড়ায় আল মামুন সরকার ৬৮ ও শফিকুল ১২ ভোট, কসবায় আল মামুন সরকার ৯৮ ও শফিকুল ৪৬ ভোট, নবীনগরে আল মামুন সরকার ১৮৬ ও শফিকুল ৯৭ ভোট এবং বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আল মামুন সরকার ১৩৬ ও শফিকুল আলম ৪৬ ভোট পেয়েছেন।
রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জয় : রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল জয়ী হয়েছেন। সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজশাহী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য পাওয়া যায়। কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল কাপ পিরিচ প্রতীকে ৫৯৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আক্তারুজ্জামান আখতার মোটরসাইকেল প্রতীকে ৫৬৬ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া অপর দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবাল তালগাছ প্রতীকে ৭ ভোট ও আফজাল হোসেন আনারস প্রতীকে ৪ ভোট পেয়েছেন।
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগের আবু বকর সিদ্দিক বিজয়ী : গাইবান্ধা জেলা পরিষদ নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক তালগাছ প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম জাতীয় পার্টির মনোনীত ঘোড়া প্রতীক প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার। সোমবার (১৭ অক্টোবর) জেলার ৭টি ভোটকেন্দ্রে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। সবগুলো কেন্দ্রতে ইভিএমের মাধ্য ভোট নেওয়া হয়।
পটুয়াখালীতে জিতলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী : জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পটুয়াখালীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজুর রহমান হাফিজের কাছে ১১২ ভোটে হেরে গেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান মোহন। তথ্য অনুযায়ী, ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে সাবেক যুবলীগ নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান পেয়েছেন ৫৮৩ ভোট। আর আনারস প্রতীক নিয়ে আওয়ামী প্রার্থী খলিলুর রহমান মোহন পেয়েছেন ৪৭১ ভোট। পরাজিত প্রার্থী খলিলুর রহমান মোহন মিয়া আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং বর্তমান প্রশাসক।
ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয় : ফরিদপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহাদাত হোসেন (চশমা)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. ফারুক হোসেন।
শেরপুরে ৩৬২ ভোটে হারলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী : শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে ৩৬২ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী। এর মাধ্যমে টানা দ্বিতীয়বার আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে হারিয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন হুমায়ূন কবীর রুমান। সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে নির্বাচনের ভোটগণনা শেষে এ ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার। নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী হুমায়ুন কবীর রুমান মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৫৪৯টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৮৭ ভোট। আরেক প্রার্থী জাকারিয়া বিষু চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৬ ভোট।
রাজবাড়ীতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের শফিকুল মোরশেদ : রাজবাড়ী জেলা পরিষদ নির্বাচনে পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এ কে এম শফিকুল মোরশেদ আরুজ (তালগাছ) প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা নির্বাচন অফিসার মাসুদুর রহমান জানান, আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এ কে এম শফিকুল মোরশেদ আরুজ (তালগাছ) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪২৮টি ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দীপক কুন্ডু (মোটরসাইকেল) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৩৮ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমামুজ্জামান চৌধুরী রিটু(আনারস) প্রতীক নিয়ে পেয়েছে ২৮ ভোট।
সুনামগঞ্জে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয় : হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬১২ ভোট। এদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খায়রুল কবির রুমেন ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৬০৪ ভোট।
রংপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর জয় : রংপুর জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬০১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ইলিয়াস আহমেদ পেয়েছেন ৪৮৪ ভোট। তিনি আনারস প্রতীকে লড়ছিলেন।
খুলনায় ফের আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জয় : খুলনা জেলা পরিষদে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী শেখ হারুনুর রশীদ। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৩৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এমএম মোর্ত্তজা রশিদী দারা চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪০৩ ভোট। আর ডা. শেখ বাহারুল আলম আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৭ ভোট।
ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের ইউসুফ খান পাঠান নির্বাচিত : ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান (আনারস)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাসদ মনোনীত প্রার্থী আমিনুল ইসলাম (চশমা)।
মানিকগঞ্জে চেয়াম্যান আওয়ামী লীগের গোলাম মহীউদ্দীন : মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন আনারস প্রতীকে ৪৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (চশমা) কে এম বজলুল হক খান পেয়েছেন ৪২৫ ভোট।
নরসিংদীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী : নরসিংদীতে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইশরাত উদ্দিন আহমেদ মনির আনারস প্রতীক নিয়ে ৬২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এই জেলায় মোট তিনটি আসন বা পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৬ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, সাধারণ সদস্য পদে ১৩ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে নড়ছেন ১০ জন।
মেহেরপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী : মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম। তিনি কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ১৭৬ ভোট পেয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রসুল (আনারস) পেয়েছেন ১১৫ ভোট।
জয়পুরহাটে আওয়ামী লীগের সামছুল আলম বিজয়ী : জয়পুরহাটে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত খাজা সামছুল আলম ২৯৫ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ৩৯১ ভোট পেয়ে পেয়েছেন।তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাসদ সমর্থিত আবুল খায়ের মো. সাখাওয়াত হোসেন তালগাছ প্রতীক নিয়ে ৯৬ ভোট পেয়েছেন।
যশোরে ফের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল : যশোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের সাইফুজ্জামান পিকুল। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন আনারস প্রতীকের মারুফ হোসেন কাজল।
মাগুরায় ফের আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী : মাগুরায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুন্ডু ৩৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া মার্কা প্রতীকের শরীয়ত উল্লাহ হোসেন মিয়া পেয়েছেন ১২৯ ভোট। মাগুরা সদর, শ্রীপুর, মোহাম্মদপুর ও শালিখা উপজেলা পরিষদ ভবনে ইভিএম মেশিনে ভোট দেয় উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ৪৯৩ জন জনপ্রতিনিধির মধ্যে ৪৮৩ জন।
কিশোরগঞ্জে জিল্লুর রহমান ফের বিজয়ী : কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯৫৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট মো. আশরাফ উদ্দিন পেয়েছেন ২৫৭ ভোট।
নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের অসিত কুমার বিজয়ী : নেত্রকোনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট অসিত কুমার সরকার সজল (আনারস)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আসমা আশরাফ।
গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের মোতাহার : গাজীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মোতাহার হোসেন (মোটরসাইকেল)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন এসএম মোকসেদ আলম (আনারস)।
পঞ্চগড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হান্নানের জয় : পঞ্চগড়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল হান্নান শেখ। তিনি পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চশমা প্রতীক নিয়ে ২৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবু তোয়াবুর রহমান। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩১ ভোট।
সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের নজরুল বিজয়ী : সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ৬০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী খলিলুল্লাহ্ ঝড়ু পেয়েছেন ৪৪৭ ভোট। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। জেলার সাতটি উপজেলার ১২টি ভোটকেন্দ্রে ১০৫৯ ভোটারের মধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ১০৫৫ জন। বিজয়ী প্রার্থী নজরুল ইসলাম বর্তমানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।
চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের মনজু চেয়ারম্যান নির্বাচিত : চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মনজু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩১২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আরেফিন আলম রঞ্জু পেয়েছেন ২৪৯ ভোট। এছাড়া বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি আব্দুস সালাম পেয়েছেন তিন ভোট।
বগুড়ায় জিতলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী : বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ডা. মকবুল হোসেন বিজয়ী হয়েছেন। তার আনারস প্রতীকে পড়েছে ৯৩২ ভোট। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল মান্নান আকন্দের মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৭০ ভোট। সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে বগুড়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য পাওয়া যায়।
নাটোরে বিজয়ী আওয়ামী লীগের সাজেদুর রহমান : নাটোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাজেদুর রহমান খাঁন বেসরকারিভাবে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। চশমা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৫৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত ঘোড়া প্রতীকের নুরুন্নবী মৃধা পেয়েছেন ২৪৭ ভোট।
নড়াইলে আওয়ামী লীগের সুবাস চন্দ্র বোস বিজয়ী : নড়াইল জেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ২৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত চয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির। মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১৭৫ ভোট।
কুষ্টিয়ায় জাসদ প্রার্থী হারিয়ে আ.লীগের জয় : কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সদর উদ্দিন খান আনারস প্রতীকে ৭৩৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদ সভাপতি গোলাম মহসিন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৮৪ ভোট। সোমবার সকাল ৯টা থেকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। কুষ্টিয়ার ৬টি উপজেলার ৬টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ইভিএম মেশিনে ভোট দেয় উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ৯৪০ জন ভোটার।
নীলফামারীতে আওয়ামী লীগের মমতাজুল বিজয়ী : নীলফামারীতে জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩১৮ ভোট।
চাঁদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয়: চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ওচমান গণি পাটওয়ারী মোবাইল প্রতীকে ৭৩৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত আনারস প্রতীকের প্রার্থী জাকির হোসেন প্রধানিয়া পেয়েছেন ৫২২ ভোট।
ঝিনাইদহে স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয় : এই জেলায় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন অর রশিদ আনারস প্রতীকে ৪৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের কনক কান্তি দাস চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬৩ ভোট।
কক্সবাজারে বিদ্রোহী প্রার্থী মার্শালের জয় : কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শাহিনুল হক মার্শাল। তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। আনারস প্রতীক নিয়ে মার্শাল পেয়েছেন ৫৭৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৯৫ ভোট।