এমনকি প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং রাষ্ট্রপতি ভবনেও বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে দেশের মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় বলে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) জানিয়েছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড- পিডিবির চট্টগ্রাম শাখার প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের ইস্টার্ন গ্রিড ফেল করেছে, যমুনার এপারে (পূর্ব) যেটা সেটা। এতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, কুমিল্লা সব জায়গায় ফেল। সময়টা ঠিক আমি খেয়াল করিনি, তবে দুইটার দিকে হয়েছে।
পিজিসিবির সূত্র জানিয়েছে,যথাসম্ভব দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ পুরো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে রাত পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিজিসিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাজ চলছে। তবে কতক্ষণ এমন পরিস্থিতি চলবে বলা যাচ্ছে না।
বিতরণ কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, বিকল্প উপায়ে তারা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা যেমন -হাসপাতাল, সরকারি জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ৷
এক মাস আগেই জাতীয় গ্রিডের আরেকটি সঞ্চালন লাইনের বিভ্রাটে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল বিভাগসহ দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা ৪০ মিনিট থেকে দেড় ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকে।
বার বার কেন এমন সমস্যা হচ্ছে– এ প্রশ্ন করা হলে পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক ইয়াকুব এলাহী চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণেই এমনটি হয়েছে বলে আমরা মনে করি। ওভারলোডের কারণে সমস্যা হয়নি। তবে আরও কোনো কারণ আছে কিনা তা বুঝতে বেশ কিছুক্ষণ সময় প্রয়োজন।