অনলাইন ডেস্ক : ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে কোরবানির পশুর হাট জমবে। আর অনেকেই নিশ্চয় গরু কেনা নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরুও করে দিয়েছেন। তবে এতো গরুর মধ্য থেকেও নিজের মনের মতো একটি ভালো গরু কেনা সহজ নয়। কৃত্রিমভাবে নানা ওষুধ খাইয়ে মোটাতাজা গরুর ভিড়ে সত্যিকার স্বাস্থ্যবান ও সুস্থ গরু চেনা একটু কঠিন বটে। তবে কিছু বিষয় খেয়াল করলে ভালো গরু চিনে নেয়া সম্ভব। তাহলে জেনে নিন সুস্থ গরু চেনার উপায় সম্পর্কে।
গরুর নাকের ওপরটা ভেজা ভেজা থাকে তাহলে বুঝতে হবে গরু সুস্থ। এছাড়া গরুর মুখের সামনে খাবার ধরলে যদি সঙ্গে সঙ্গে জিহ্বা দিয়ে টেনে নেয় তাহলেও বোঝা যায় গরুটি সুস্থ কারণ অসুস্থ পশু খাবার খেতে চায় না।
অনেকে মনে করে মোটা গরু মানেই সুস্থ গরু। আসলে তা না, মোটা গরুতে চর্বি অনেক বেশি থাকে যা খাওয়ার পর মানুষের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাইয়ে অনেক সময় গরু মোটাতাজা করা হয়। তাই এ সব গরু হতে সাবধান।
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় কোরবানির পশুকে মোটাতাজাকরণ ওষুধ খাইয়ে স্বাভাবিকের চাইতে অতিরিক্ত মোটাতাজা করে কোরবানির হাটে নিয়ে আসে। এসব গরু অন্যসব গরুর চাইতে ফোলা থাকে। তাই ভালো করে লক্ষ্য করুণ আপনার পছন্দের গরু চটপটে কি না? ভালো গরু দৌড়াতে চাইবে, কান দিয়ে মশা, মাছি তাড়াবে এবং সঙ্গে সঙ্গেই লেজ নাড়াবে। কিন্তু স্টেরয়েড খাওয়ালে গরু নড়াচড়ার বদলে ঝিম মেরে থাকবে। এছাড়া স্টেরয়েড ট্যাবলেট খাওয়ানো গরুর ঊরুতে প্রচুর মাংস থাকে। তাই এ ধরণের গরু কিনবেন না।
গরুর কুঁজ মোটা ও টানটান থাকলে বুঝতে হবে গরুটি সুস্থ। শিং ভাঙা, লেজ কাটা, জিহ্বা, ক্ষুর, মুখ, গোড়ালি খত আছে কি না তা ভালো করে দেখে নিতে হবে। গরুর পাঁজরের হাড়ে যে তিন কোনা গর্ত থাকে যাকে ফ্লায়েন্ট জয়েন্ট বলে তাতে কোনা রয়েছে কিনা সেটি খেয়াল রাখতে হবে। যেসব গরুকে স্টেরয়েড জাতীয় খাবার খাওয়ানো হয় সেগুলোর পাঁজরের স্থান ফোলা থাকে এবং সেখানেও মাংস থাকে।
সুস্থ গরু চিনতে হলে পাঁজরের হাড়েও খেয়াল করতে হবে। সুস্থ গরুর পাঁজরের হাড়ে উঁচু নিচু থাকে এবং চোখে নড়াচড়া করবে।