জুয়েল মিয়া, নিজস্ব প্রতিনিধি : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বক্তৃতা দিতে পারতেছে, কথাগুলো বলতে পারতেছে এটাই তো গণতন্ত্র। আমরা তো বাঁধা দিচ্ছিনা। মিথ্যা বলুক, সত্যের কাছে দিয়ে না গিয়েও কথা বলুক তারপরও কিন্তু তারা (বিএনপি) কথা বলতে পারতেছে। আমরা তাদেরকে কথা বলতে দিচ্ছি। কারণ কথা বলা তাদের অধিকার। এটাই হচ্ছে গণতন্ত্র। আইনের শাসন নাই যে বলে সে আইনের শাসন মানে কি সেটাই বুঝেনা।
শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর দেয়া সংবিধানের অধীনে চলে। বাংলাদেশ সংবিধান নিয়ে বিএনপি তারপরে জাতীয়পার্টির স্বৈরশাসনের সময় অনেক ফুটবল খেলেছে। এই ফুটবল খেলা বন্ধ করেছে জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন বাংলাদেশে সাংবিধানিক পন্থায় নির্বাচন হবে। কেয়ারটেকার সরকারের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হলে কেয়ারটেকার সরকারের কোনো বৈধতা নেই, এটা বেআইনী বলে হাইকোর্ট রায় দিলো। সুপ্রিমকোর্ট মানে আপিল বিভাগ এই কেয়ারটেকার সরকার অবৈধ বলে রায় দেয়। এই রায়ের পরে সংসদে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। ৭২ এর সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন হবে এবং বাংলাদেশ চলবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়৷ সেই মোতাবেক বাংলাদেশ চলছে এবং আগামী নির্বাচন হবে। এখানে কোনো নির্দলীয় সরকার, কেয়ারটেকার সরকার থাকবেনা। গত তিনবারের মতো এবারও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।
দেশে আইনের শাসন নাই এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ১৯৭৫সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতাকে তার পরিবারসহ হত্যা করা হয়৷ ২৬শে সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ সালে এই হত্যাকান্ডে যারা জড়িত ছিল তাদেরকে বিচার করতে পারবেনা বলে আইন পাশ করে খন্দকার মোসতাক ও জিয়াউর রহমান। সেটা আইনের শাসন মনে করে বিএনপি৷ আমরা মনে করি আইনের ঊর্ধ্বে কেউনা। আইন যা লেখা আছে সেইভাবেই জনগণকে পালন করতে হয়। আমরা মনে করি সেটাই আইনের শাসন এবং এখন এই আইনের শাসন এই দেশে আছে। নৈরাজ্য নাই। হত্যার বিচার হয়না এমন কথা এখন কেউ আর বলতে পারবেনা। বিএনপি জিয়াউর রহমানের হত্যার বিচার করতে পারে নাই৷ তাদের আবার আইনের শাসনের কথা।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী , উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরমেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।