নেত্রকোনার খালিয়াজুরি উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে বন্যার্তদের ত্রাণের খাবার প্যাকেট জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নুরপুর বোয়ালি বাজার থেকে পুলিশ ৫টি বড় বস্তা জব্দ করে। বস্তাগুলোতে ৫ কেজি চাল, ডাল, তেলসহ বিভিন্ন খাবারের ১৬টি ছোট বস্তা রয়েছে। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলেন- মেন্দিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মুসা (৪০) ও উদ্যোক্তা নাসিমকে (৩০)।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হানিফ বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ত্রাণ সোমবার সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে রাখেন। কিন্তু সেখান থেকে ১৬ জনের খাবার কে বা কারা একটি কম্পিউটারের দোকানে লুকিয়ে রাখে। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে খালিয়াজুরি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিপ্লব মোহান্ত ঘটনাস্থল থেকে তা জব্দ করেন।
এসআই বিপ্লব মোহান্ত মোবাইল ফোনে বলেন, পাঁচটি সারের বস্তায় ১৬ জনের খাবার জব্দ করা হয়েছে। দোকানটির মালিক নাছিম পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। নাছিম চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ লোক বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তিনি পরিষদের অস্থায়ীভাবে উদ্যোক্তার কাজ করেন বলেও জানা গেছে।
তিনি বলেন, চেয়ারম্যানকেও পরিষদে ডেকে আনা হয়েছে। চেয়ারম্যানের দাবি তিনি সন্ধ্যায় অনেকগুলো খাবার প্যাকেট পরিষদে রেখে তালাবন্ধ করে যান। কীভাবে ওই দোকানে প্যাকেটগুলো পাচার হয়েছে তা তার জানা নেই। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।
মেন্দিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবু হাকিম বলেন, আমি গত রাতে ত্রাণ সামগ্রীগুলো ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. মুসা মিয়া ও ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য উদ্যোক্তা মো. নাসিম মিয়ার তত্ত্বাবধানে রেখে যাই। মঙ্গলবার (২১জুন) সকালে এসে গণনা করলে ত্রাণ সামগ্রী কম পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিকভাবে ইউএনওকে অবগত করা হলে তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান। পরে তথ্য উদ্যোক্তা নাসিমের স্টুডিও থেকে চুরি করা সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম আরিফুল ইসলাম বলেন, ইউপি সচিব মুসা ও উদ্যোক্তা নাসিমকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বানভাসি মানুষের ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যারা নয়ছয় করবে তাদেরকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।