মোঃ নিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার মাটি, আবহাওয়া ও জলবায়ু ফল আবাদের জন্য খুবই উপযোগী। এই এলাকার ফল স্বাদে, গন্ধে, বর্ণে ও পুস্টিমানে আকর্ষণীয় এবং বৈচিত্রময়। উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের চান্দুরা গ্রামের বিশ্বনাথ সাহা বাণিজ্যিক ভাবে ফল চাষ করে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন। বিশ্বনাথ সাহা জানান এ বছর ২বিঘা জমিতে তিনি কলার আবাদ করেন। তিনি প্রথমে উক্ত জমিতে তরমুজ ও সাম্মামের চাষ করে তেমন সফলতার মুখ দেখতে পাননি। পরবর্তিতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনাব শাব্বির আহমেদ এর নিকট উক্ত জমিতে কি করা যায় তার জন্য সঠিক পরামর্শ ও সহযোগীতা কামনা করেন। কলা অত্যন্ত পুস্টিকর খাদ্য ও স্বল্পমেয়াদী একটি ফল যা এক বছরের মধ্যে হারভেস্ট করা যায় জানিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাকে কলা চাষের পরামর্শ প্রদান করেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ মোতাবেক বিশ্বনাথ সাহা উদ্বুদ্ধ হয়ে ভারত থেকে ৭০০টি জি-৯ কলার চারা এনে ২বিঘা জমিতে রোপন করেন। বর্তমানে তাহার কলা বাগানের অবস্থা খুবই ভালো। প্রায় অর্ধেক কলা গাছে কলার ছড়া এসেছে। তিনি জানান কলা বাগান থেকে এ বছর প্রায় ২.৫-৩ লক্ষ টাকা আয় করবেন বলে আশা করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনাব শাব্বির আহমেদ জানান এ বছর বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শবরী, চম্পা, অগ্নিস্বর ও জি-৯ জাতের মোট ১৬ হেঃ জমিতে কলার আবাদ হয়েছে। জনাব বিস্বনাথ সাহা কৃষি বিভাগের পরামর্শে ২ বিঘা জমিতে কলার চাষ করেছেন। তাহার কলা বাগানের বর্তমার অবস্থা খুবই ভালো। তাহার কলা বাগান দেখে অনেক তরুণ কলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মোঃ নুরে আলম জানান এ এলাকার ফল স্বাদে, গন্ধে, বর্ণে ও পুস্টিমানে আকর্ষণীয় এবং বৈচিত্রময় হওয়ায় ফলের আবাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বিশ্বনাথ সাহা রকলা বাগান বিভিন্ন সময়ে পরিদর্শন করছেন এবং পরিবেশ বান্ধব কৌশল যেমন কলার ব্যাগিং এর মাধ্যমে কলার বিটল পোকা দমন, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ, সঠিক দুরত্বে রোপন ইত্যাদি সহ বিভিন্ন জৈব বালাইনাশক প্রয়োগ করে রোগ/পোকা দমনের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
বিশ্বনাথ সাহা জানান, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মোঃ নুরে আলম এবং উপসহকারী কৃষি অফিসার সফিউল আলম সুজন তাকে কলার আবাদ বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছেন যা তাকে কলা চাষাবাদে সফল হতে সাহায্য করেছে।
বিজয়নগর উপজেলা কৃষি অফিস জানায় উপজেলায় এবার প্রায় ১কোটি ৯২লক্ষ টাকার কলা উৎপাদিত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।