আখাউড়ায় গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, স্বামী-শ্বশুর আটক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 1 June 2025, 14 বার পড়া হয়েছে,
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূকে তার স্বামী, শ্বশুর ও ফুফু শাশুড়ি মিলে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১ জুন) সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার রাতে আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ঘোলখার গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন।

নিহত রুনা আক্তার (৩২) একই ইউনিয়নের রাণীখার গ্রামের বাসিন্দা, প্রয়াত শিক্ষক শেখ নাছির উদ্দিনের মেয়ে।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, তিন বছর আগে পাশের গ্রামের সাইদুর রহমানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে রুনার বিয়ে হয়। তাদের ১০ মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। ঢাকায় সেলুনে কাজ করেন সাইদুর। সম্প্রতি গ্রামের বাড়িতে জমি কেনার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা নেন সাইদুর। এরপর আবার টাকা আনার জন্য রুনাকে চাপ দিলে তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। এই টাকা-পয়সার বিষয় নিয়েই রুনার ওপর শারীরিক নির্যাতন চলছিল। শেষ পর্যন্ত তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক অনন্ত কুমার ভক্ত জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ভিকটিম মারা যায়। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ভিকটিমের বুকে গভীর ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা প্রাণঘাতী ছিল।

সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী সদর মডেল থানার এসআই মোছা. শিরিন আক্তার জানান, ভিকটিমের বাম বুকের ওপর গলার নিচে সাড়ে সাত ইঞ্চি গভীর এবং দুই ইঞ্চি প্রস্থের ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার বাম হাতের অনামিকা আঙুলেও কাটা দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন জানান, ভিকটিমের স্বামী সাইদুরকে আটকের পর প্রথমে স্থানীয় ধরখার পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছিল। বর্তমানে তাকে আখাউড়া থানা হাজতে আটক করা হয়েছে। ভিকটিমের শ্বশুর আব্দুস সালামকে জেলা সদর হাসপাতাল থেকে আটকের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা হাজতে রাখা হয়েছে।