পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১১ বছর পূর্বে তাহমিনা ও খোকন মিয়ার মধ্যে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এরই মধ্যে তাদের ঘরে ৪টি সন্তান জন্মগ্রহণ করে। সর্বশেষ ছোট ছেলে সাইম জন্ম নেওয়ার পর তার নাম রাখার সময় খাবারের আয়োজন করে খোকন মিয়া। কিন্তু তাহমিনার বাবার বাড়ির কম লোকনজনকে দাওয়াত দেয় খোকন। এ অভিযোগ এনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনমালিন্য হয়। পরের দিন রাগ করে বাবার বাড়ি পূর্বভাগ ইউনিয়নের চান্দের পাড়া গ্রামে চলে আসে তাহমিনা। সেখানে এসে খোকনকে ফাঁসানোর ফন্দি করে তাহমিনা। এর পর ১২ তারিখ রাত ১১টার দিকে শিশু সাইমকে বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেয় তাহমিনা। ওই দিন রাতেই তাহমিনা পাড়ার সবাইকে বলতে থাকে খোকন এসে তার শিশু সন্তান সাইমকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। তিনি বলেন, ওই দিন রাতে সাইম গোকর্ণ গ্রামের একটি ইটভাটায় কাজ করছিল। পরের দিন সকালে স্থানীয়রা পুকুরে গোসল করতে গেলে একটি লাশ দেখতে পায়। তখন পুলিশ এসে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। তাহমিনাকে আটক করে পুলিশ।
নাসিরনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে তাহমিনা আক্তার তার শিশুকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় স্বামী খোকন তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেন ওসি।