এ সময় তাদের কাছ থেকে ভুয়া ১০টি ওয়ার্ক পারমিটযুক্ত পাস, একটি করে ল্যাপটপ ও প্রিন্টার এবং নির্দিষ্ট ওয়ার্ক পারমিট ইস্যুর উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত চারটি মোবাইল ফোনসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
প্রথম অভিযানের পর সন্দেহভাজন ৩০ বছর বয়সী অপর বাংলাদেশি বুধবার রাতে শাহ আলম জেলা পুলিশ সদর দফতরে আত্মসমর্পণ করেন।
জেলা পুলিশ প্রধান বলেন, তদন্তে দেখা গেছে, তিন বছর ধরে তারা মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন এবং গত অক্টোবর থেকে এ এলাকায় নতুন করে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। এই সিন্ডিকেট বাংলাদেশসহ বিভিন্ন বিদেশি শ্রমিকের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে জাল ভিসা ও বিভিন্ন জাল নথিপত্র বিক্রির কাজে নিয়োজিত ছিল। এসব ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট তৈরি করে নিরীহ শ্রমিকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে, প্রথম অভিযানে আটক দুই সন্দেহভাজনকে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) পর্যন্ত রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তৃতীয় সন্দেহভাজনকে রিমান্ড আবেদনের জন্য বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) আদালতে হাজির করা হবে এবং প্রতারণার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় মামলাটি তদন্ত করা হবে।
অভিযান পরিচালনা করে শাহ আলম জেলা পুলিশ সদর (আইপিডি) ও শ্রী মুদা থানার কমার্শিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সদস্যদের একটি দল।