নিজস্ব প্রতিবেদক : সামাজিক ও মানবিক সংগঠন ‘প্রিয় পরিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র ব্যাতিক্রমী আয়োজনে ৮ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
বুধবার (১২ ফ্রেব্রুয়ারী) সকালে সামাজিক ও মানবিক সংগঠন প্রিয় পরিবারের ৮ম বছর পূর্তি ও ৯ম বর্ষ পর্দাপন উপলক্ষে জেলা শহরের কাউতুলি স্বপ্নতরী কনভেনশন হলে এক আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
‘প্রিয় পরিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র উপদেষ্টা গোলাম রব্বানীর সঞ্চালনায় ও প্রধান উপদেষ্টা মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি মো:জসিম উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জনতার খবর এর সম্পাদক সাংবাদিক আদিত্ব্য কামাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কামরুল হক, স্বপ্ন তরীর সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক তাহের উদ্দিন ভুইয়া, সমাজসেবক সামছুল আলম বাবু, বিশিষ্ট নারী সংগঠক কোহিনূর আক্তার প্রিয়া, শেখ মো: হাফিজুল্লাহ, আজিজুর রহমান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো:বাবুল মিয়াসহ প্রিয় পরিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংগঠনের সদস্য আহমেদ মাজেদ, শাহিদুর রহমান, হাসান মিয়া, রফিকুল ইসলাম, রুবেল, রানা, সোহেল, রনি, সালাউদ্দিন আয়ুবী, হাকিম, নুরজাহান রেশমা, জান্নাতুল ইসলাম ফারিয়াসহ আরো অনেকে।
এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সামাজিক ও মানবিক কাজে বিশেষ অবদান রাখায় ৬ টি সামাজিক সংগঠন ও ১০ জন সেচ্ছাসেবীকে সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়।এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিদেরকেও সম্মাননা প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য প্রিয় পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সাইফুর রহমান নাহিদ প্রবাসে থেকেও সামাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উল্লেখযোগ্য সংগঠন গুলোর মধ্যে প্রাউড অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রক্তের সন্ধানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আমরাই আগামীর চোখ,সেবা ঐক্য ফোরাম,আখাউড়া ব্লাড ফাউন্ডেশন, আলোর দিশারী ব্লাড ব্যাংক সহ জেলার সকল সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা।
এসময় বক্তারা বলেন, প্রিয় পরিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সামাজিক সংগঠনের সকল সামাজিক কাজ চোখে পড়ার মতো। প্রিয় পরিবার প্রতি সপ্তাহে যে খাবার অসহায় মানুষদের মাঝে বিতরণ করে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। সমাজের প্রতিটি মানুষের উচিত প্রিয় পরিবারের পাশে দাঁড়ানো অথবা তাদের সহযোগিতা এবং দিকনির্দেশনা দিয়ে কাজগুলো করানো। এক সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে কোন ব্লাড ব্যাংক ছিল না রক্তের অভাবে ঢাকা যাওয়া লাগতো কিন্তু বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রয়েছে যারা বিনামূল্যে রক্ত ম্যানেজ করে দেয় মমুর্ষ রুগীদের। প্রিয় পরিবারের অষ্টম বর্ষপূর্তি ও নবম বছরে পদার্পণ করছে আশা করি বিগত দিনে যেভাবে মানুষের পাশে দাড়িয়েছে। ভবিষ্যতেও সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করে যাবে বলে বক্তাগণ আশা প্রকাশ করেন।