সকলের শান্তিপূর্ণসহ সহঅবস্থান ও সহযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর হয়ে উঠবে আধুনিক জনপদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 21 November 2024, 11 বার পড়া হয়েছে,

নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহষ্পতিবার জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত একান্ত প্রয়োজন। একে অপরের প্রতি সহনশীলতা, সহমর্মিতা হতে মানুষ দূরে সরে যাচ্ছে। সভ্যতার প্রয়োজনে আবারও আমাদের পরষ্পরের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করতে হবে। মোহাম্মদ রুহুল আমিন, উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সকল দলের, ধর্মের ও সর্বশ্রেণীর মানুষের, একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ জনপদের জন্য সকল মতের মানুষের পারষ্পরিক সহযোগিতা ও সহঅবস্থান অপরিহার্য। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনে শান্তিপূর্ণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়ে তোলার গুরুত্ব তুলে ধরেন মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম (এমএএফ) ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

২১ নভেম্বর, বৃহষ্পতিবার শহরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত ‘জননিরাপত্তা’ বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে এই আহ্বান জানানো হয়। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, যুব সংগঠন প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।

সম্প্রতি পরিবর্তীত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ইস্যুতে মানুষের মধ্যে একধরণের শংকা বিরাজ করছে, মব জাষ্টিস, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা এসকল ক্ষেত্রে জনগনের অসন্তুষ্টি মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম (এমএএফ) এর কাছে দৃশ্যমান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জনভোগান্তি নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে এই গোল-টেবিল বৈঠকের আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এমএএফ।

ইউকেএইড এর অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত বাংলাদেশ ষ্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল একাউন্টিবিলিটি ফর সিটিজেন এমপাওয়ারমেন্ট (বি-স্পেস) প্রকল্প এই উদ্যোগের সহায়তা প্রদান করেছে। সভায় বক্তারা যে সকল সমস্যা তুলে ধরেন, সমস্যা ও সুপারিশ সমূহঃ
১. শহরে নারী নিরাপত্তার অভাব রয়েছে, রাস্তায়, বাসে, শিক্ষাঙ্গনে নিয়মিত হয়রানীর শিকার হতে হয়। ৬৫% নারী মনে করে পুলিশ যথাযথ সহায়তা করে না ফলে তারা কোন অভিযোগ দায়ের করতে চায়না। ২. সাইবার ও অনলাইন প্রতারণা নিয়মিত ঘটনা, যা জননিরাপত্তার জন্য হুমকি ৩. বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীদের অযথা মব জাষ্টিস না করে প্রকৃত অপরাধীকে আইনের হাত তুলে দেওয়া উচিত। অথযা রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে তাকে হয়রানী করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

৪. সকল ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতি রাখা প্রত্যেকের দায়িত্ব, এক্ষেত্রে কেউ যেন বাড়াবাড়ি না করে । সকল ধর্মের প্রকৃত শিক্ষাই হল সম্প্রীতি ও সহমর্মিতা।

৫. কিশোর গ্যাং, ছিনতাই, মাদক মানুষের জীবনমানকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, যা জননিরাপত্তার জন্যও হুমকি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি হিসাবে মোহাম্মদ রুহুল আমিন, উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন। প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব হাফিজুর রহমান মোল্লা, সদস্য আহবায়ক কমিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো. মোজাফফর হোসেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সদর থানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জনাব শামীম আহমেদ, আহবায়ক, তরী বাংলাদেশ, জনাব দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সভাপতি সাংবাদিক ইউনিয়ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জনাব আবু কাওছার খান, সদস্য জাতীয় পার্টি, জনাব শামীমা বাছির স্মৃতি, সাধারণ সম্পাদক, মহিলা দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। জনাব রুমানুল ফেরদৌসি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক , মহিলা আওয়ামী লীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, গণ-অধিকার পরিষদ, মুসলিম, খ্রীষ্টান ও হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও বিভিন্ন যুব সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
ম্যাফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সাধারণ সম্পাদক জনাব এবিএম মমিনুল হক, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ো জেলা বিএনপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের তরুণ ফেলো জনাব সাঈদ হাসান সানি, সাবেক আহবায়ক, ছাত্রদল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর, জনাব সমির চক্রবর্তী, সদস্য সচিব, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও জনাব শাহাদাত হোসেন, সভাপতি জাতীয়তাবাদী নবীনদল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।