বিশেষ প্রতিনিধিঃ চাঁদপুরের শাহরাস্তির উপজেলার মেহের দক্ষিণ ইউনিয়নের ভোলদিঘীতে হাফেজ আব্বাছ আলী নূরানী ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
৩ মার্চ (শুক্রবার) বেলা ১১ টায় উপজেলার মেহের দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ভোলদিঘী বাজার সংলগ্ন পূর্ব পাশে এই দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য দানকৃত সাড়ে বাইশ শতাংশ জায়গায় উপর প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়।
চাঁদপুর সরকারি কলেজের গনিত বিষয়ের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় অনু্ষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, আলহাজ্ব আবদুল মতিন।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান চৌধুরী শেফালী।
প্রধান অতিথি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, সমাজের সকল অংশীজনের অংশগ্রহনে যে কোন উদ্যোগ সফল হবেই হবে। তিনি বলেন, দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারে নব স্থাপিত হাফেজ আব্বাছ আলী নূরানী ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা সমাজ বির্নিমানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। তিনি এলাকাবাসীর সকলকে এই দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কল্পে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের আহবান জানান।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, মেহের দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রুহুল আমিন, ইউপি সদস্য আক্তারুজ্জামান, মেহের দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম, শাহরাস্তি পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওমর ফারুক।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, মেহের দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সামছুদ্দিন পাটওয়ারী টুলিপ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন, ব্যাংকার মোঃ তারেক আহমেদ পাটওয়ারী সহ এলাকার বিভিন্ন মসজিদের ঈমাম ও মাদ্রাসার শিক্ষক এবং এলাকায় সাধারণ মানুষজন সহ ভোলদিঘী বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, মরহুমা উম্মে কুলসুম তাঁর প্রয়াত বাবা বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন হাফেজ আব্বাস আলীর নামে এই প্রতিষ্ঠানটি করার জন্য তিনি ২০০১ সালে উদ্যোগ গ্রহন করেন। ঐ সময় মাদ্রাসাটি স্থাপনের প্রয়োজনীয় জায়গার সংকুলান না করতে পারায় তা আর স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে উম্মে কুলসুমের আওলাদগন তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাদ্রাসাটি স্থাপনে প্রয়োজনীয় জায়গার ব্যবস্থা করে মাদ্রাসাটি স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহন করেন। এই মাদ্রাসাটি স্থাপনে বর্তমানে আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান এবং মাস্টার দীন মোহাম্মদ এর পরিবারের সদস্যগন প্রয়োজনীয় জায়গা দান করেন।
উক্ত মাদ্রাসা স্থাপনের মূল দায়িত্বে থাকা শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা এই প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু করে দিয়ে গেলাম। ভবিষ্যতে যারা এর দায়িত্বে আসবেন তারা যেন ইসলাম ধর্মের উপর গবেষণা করেন এবং ইসলাম প্রচার ও প্রসারে জোরালো ভূমিকা রাখেন তাদের প্রতি আমাদের এমন প্রত্যাশা থাকবে।