সোমবার (১০ অক্টোবর) রাতে জেলা শহরের জেলরোডস্থ লাইফ কেয়ার শিশু ও জেয়ার হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শারমিন সুলতানার তত্ত্বাবধানে নবজাতক গুলো প্রসব করে। রিপা জেলার বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নে ধীতপুর গ্রামের কৃষক সাগর আলীর স্ত্রী। নবজাতক গুলোর মধ্যে ১টি ছেলে ও বাকী ৩টি মেয়ে।
গাইনি ও প্রসূতি বিদ্যা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শারমিন সুলতানা জানান, প্রসূতি এর আগে একটি শিশু প্রসবের সময়ই মারা যায়। এরপর প্রথম থেকেই আমার তত্ত্বাবধানে নিয়মিত চিকিৎসাধীন ছিলেন। বিকেলে প্রসব ব্যাথা উঠলে তাকে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে আসে। প্রথমে তাকে নরমাল ভাবে প্রসবের চেষ্টা করা হয়। নরমালে সে একটি শিশু প্রসব করার পর তার আর লেভার পেইন বাড়েনি। পরবর্তীতে সিজারিয়ান করে বাকী তিনটি শিশুকে প্রসব করা হয়। আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে এসেছিল গর্ভে ৩টি শিশু, কিন্তু আমার ধারণা ছিল ৪টি হবে। অবশেষে আল্লাহতালার রহমতে তা ই হলো। মা ও শিশুরা সবাই ভাল আছে।
চার নবজাতকের পিতা সাগর আলী বলেন, আমি বিদেশে থাকতাম। পরবর্তীতে দেশে ফিরে কৃষি কাজ করি। দীর্ঘদিন বাচ্চা নেওয়ার চেষ্টা করিনি। পরে গত ২ বছর আগে আমার স্ত্রী গর্ভবতী হয়ে প্রসবের সময় একটি বাচ্চা মারা যায়। বিয়ের দীর্ঘ ১০ বছর পর এখন ৪টি বাচ্চা দেখে আমার হৃদয় জুড়িয়ে গেল, তাতে আমি অনেক খুশি।
ডাক্তান শারমিন সুলতানা জানান, বর্তমানে মা ও শিশুগুলো সুস্থ রয়েছে। তবে ওজন কম হওয়ায় শিশুগুলোকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতালে ইনকিউভেটরে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।