এ ঘটনায় বৃদ্ধা বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (নাসিরনগর) আমলি আদালতে মামলা করেছেন। ঘটনাটি উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে।
আদালতে করা মামলা ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্বামী মারা যাওয়ার পর খোরশেদা বেগম ছোট ছোট পাঁচ মেয়ে আর দুই ছেলেকে নিয়ে স্বামীর বসতভিটায় বসবাস করে আসছিলেন। সন্তানরা সবাই স্বাবলম্বী, বিয়ে করে নিজেদের সংসার করছেন তারা। খোরশেদা বেগম রয়েছেন স্বামীর রেখে যাওয়া সেই ভাঙা ঘরে।
বয়স হওয়ায় খোরশেদা বেগম চাইছিলেন তার জীবদ্দশায় স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তি সব সন্তানদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে দিতে। কিন্তু বৃদ্ধার বড় ছেলে তাহের মিয়া একাই সব সম্পত্তি দখল করে রেখেছেন। খোরশেদা বেগমকেও মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন।
অসহায় মা খোরশেদা নিজ সন্তানের অত্যাচারে এখন অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় বৃদ্ধা গত ১৮ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (নাসিরনগর) আমলি আদালতে মামলা করেছেন।
ভুক্তভোগী বৃদ্ধা খোরশেদা বেগম বলেন, আমার সন্তানের অত্যাচারে আমি এখন বাড়িছাড়া। অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। আমাকে বাঁচাতে গিয়ে আমার ছোট ছেলের বউও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আমি ন্যায়বিচার চাই, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্বামীর ভিটায় থাকতে চাই।
অভিযুক্ত ছেলে তাহের মিয়া জানান, শুনেছি আমার বিরুদ্ধে মা ও ছোট ভাইয়ের বউ মামলা করেছে। তবে আমার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ মিথ্যা।
নাসিরনগর থানার ওসি মো. হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, আদালত আমাদের কাছে তদন্ত প্রতিবেদক চাইলে পুলিশ তদন্ত করে প্রতিবেদন দেবে।