চট্টগ্রাম বন্দরে ১৯ টন ‘ভয়ংকর’ চিনি

জাতীয়, 27 May 2022, 138 বার পড়া হয়েছে,

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চিনি খাদ্য হলেও ঘনচিনি (সোডিয়াম সাইক্লামেট) খাবার অনুপযোগী। স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকার ২০০৬ সালে ঘনচিনি আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। কিন্তু মিথ্যা ঘোষণায় দেশের বাজারে ঢুকছে ভয়ংকর এই ঘনচিনি। সাধারণ চিনির তুলনায় ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে মেশাচ্ছেন ক্যানসার সৃষ্টির অন্যতম এ উপাদান।

সোডা অ্যাশ ঘোষণায় চীন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা আমদানি নিষিদ্ধ ১৯ টন ঘনচিনি জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ঢাকার বংশালের ডিএসএস এন্টারপ্রাইজ চালানটি আমদানি করেছিল।

জানা গেছে, গত ১৮ মে চীনের জিনদাও বন্দর থেকে এইচআর হেরা জাহাজে চীন থেকে চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। চট্টগ্রাম কাস্টমসের পোর্ট কনন্ট্রোল ইউনিট (পিসিইউ) রিস্ক ম্যানেজমেন্ট অ্যানালাইসিসের আওতায় বিল অব লোডিংটি এনবিআরের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে ব্লক করে।

আমদানিকারক চালানটি খালাসের প্রক্রিয়া শুরু না করায় কাস্টসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) টিম গত বুধবার চালানটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে। কন্টেইনার খুলে পণ্যের বস্তার ওপর আমদানিকারকের নাম ও অন্যান্য তথ্য সম্বলিত অপসারণযোগ্য স্টিকার পাওয়া যায়। বস্তার ভেতরে লুকানো আমদানি নিষিদ্ধ ১৯ টন ঘনচিনি ও ১ টন সোডা অ্যাশ জব্দ করা হয়।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার সালাহ উদ্দিন রিজভী দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, সোডা অ্যাশ ঘোষণা দিয়ে আমদানি নিষিদ্ধ ১৯ টন ঘনচিনি জব্দ করা হয়েছে। জড়িতদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।

এর আগে ২০২১ সালের জুলাই মাসে চুনপাথরের উপকরণ ক্যালসিয়াম কার্বনেট এবং সোডার উপকরণ ডিসোডিয়াম কার্বনেট ঘোষণায় আমদানি নিষিদ্ধ ৮৯ টন ঘনচিনি জব্দ করা হয়েছিল।ঢাকার দুই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সাদাত ট্রেড সেন্টার ও সুজানা ট্রেডিং চালান দুটি আমদানি করেছিল। সাদাত ট্রেড সেন্টারের নামে ৬৯ টন ও সুজানা ট্রেডিংয়ের নামে ২০ টন ঘনচিনি আনা হয়েছিল।

স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা জানান, ঘনচিনি বিভিন্ন বেকারি ও মিষ্টান্ন পণ্য, বেভারেজ, চকলেট, কনডেন্স মিল্ক ও আইসক্রিমে ব্যবহার হচ্ছে। ঘনচিনি দিয়ে তৈরি খাবার মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এর ফলে ক্যানসার, কিডনি ও লিভার বিকল, হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিল রোগ হতে পারে।