মো. আজহার উদ্দিন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : কবি মন বড় বিচিত্র, আনমনা, ভালোবাসায় ভরপুর। কবি কখনো ভাবেন না, তিনি কী লিখবেন, কেমন কবিতা লিখবেন। মনের অজান্তে কখন যে কলমের আঁচড়ে কী লেখেন, তা একসময় হয়ে যায় কাব্য- সেই কাব্য পাঠককে কখনো কাঁদায়, কখনো ভালোবাসা জাগিয়ে দেয়, কখনো প্রকৃতির রুপ-রস আস্বাদনে শিহরণ জাগায়।
সম্প্রতি একুশে বই মেলায় ‘অন্বয় প্রকাশনী’ থেকে প্রকাশ হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালের গাইনী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও কবি রঞ্জিত বিশ্বাস এর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ “কিছু থাকে মনের খাঁচায়”।
রোববার (৫ মার্চ) দুপুর দেড়টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজের কনফারেন্স রুমে কাব্যগ্রন্থটির মোড়ক উম্মোচন অত্র প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও স্বাচিপ’র জেলা কমিটির সভাপতি ডা. আবু সাঈদ।
“কিছু থাকে মনের খাঁচায়” কাব্যগ্রন্থটি মূলত অকাল প্রয়াত কন্যার প্রতি বাবার ভালোবাসার কাব্যগ্রন্থ।
অনেকেই জানেন, কবিকন্যা আহির ভৈরবী- দেশের সম্ভাবনাময়ী সঙ্গীত শিল্পী। এই তরুণী অকালে আমাদের ছেড়ে চলে যান। কোনো বাবার পক্ষেই এই ভার বহন করা সম্ভব নয়। তবুও বাবা রঞ্জিত বিশ্বাস তাঁর কাব্যের মধ্যে কন্যাকে খুঁজে ফেরেন প্রতিক্ষণ। তাঁর প্রতিটি কাব্যের মধ্যেই কন্যার স্মৃতি ওঠে আসে।
তিনি মনে করেন, তাঁর প্রতিটি কাব্যই এক একটি আহির ভৈরবী। সুতরাং পাঠক মাত্রই কাব্যগুলো পাঠে বাবা-মেয়ের ভালোবাসার চিরন্তন অনুভূতিগুলোর ছোঁয়া পাবেন। এই গ্রন্থে ‘মায়ের ভালোবাসা’ থেকে ‘জীবন শেষে’ মোট ৫৫টি কাব্য স্থান পেয়েছে। গুলশান কবির এর মনোলোভা প্রচ্ছদ- কাব্যগ্রন্থটির অন্তর্নিহিত ভাবকে অনায়াসে তুলে ধরতে পেরেছেন। মূল্য মাত্র ২০০টাকা। আমরা যারা আহির ভৈরবীকে ভালোবাসি, ভালোবাসি মা বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রমা বাড়ৈকে, তাঁরা নিশ্চয় এই গ্রন্থটি সংগ্রহ করলে ওপার থেকে ভৈরবী খুশি হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালের সুপার ইন্টেন্ডেট ডা. মমতাজুল হক সভাপতিত্বে ও ডা. মইনুদ্দিন হক তুষারের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মো. আবু সুফিয়ান, ডা. নাছিমা আক্তার, ডা. খোকন চন্দ্র দেবনাথ, ডা. তৌহিদ আহমেদ, ডা. গোপা পাল প্রমূহ।
এছাড়া আগামী ১০ মার্চ সন্ধ্যায় ধানমন্ডির “মৃদঙ্গ”- সেখানেও কাব্যগ্রন্থটির মোড়ক উম্মোচন হবে।