পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 19 July 2022, 110 বার পড়া হয়েছে,

নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার মোঃ আঃ কুদ্দূস এর সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত ১৮ জুলাই সোমবার সন্ধ্যায় পৌরসভা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট অ ল), বাচিকশিল্পী মনির হোসেন, জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, মাসিক তিতাস বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক এমএ মতিন শানু, বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার দেওয়ান দিদারুল আলম মারুফ, সাহিত্য একাডেমির সহ-সভাপতি কবি ও কথাসাহিত্যিক এড. মানিক রতন শর্মা, আশুগঞ্জ ফিরোজ মিয়া সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক কবি এম এ হানিফ, সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক, কবি ও গীতিকার মোঃ আব্দুর রহিম, নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন নোঙরের জেলা কমিটির সভাপতি শামীম আহমেদ, পৌরসভার বাজার পরিদর্শক কবি এডভোকেট মোঃ হুমায়ুন কবির, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন বেপারী, দৈনিক ফন্টিয়ারের বার্তা সম্পাদক কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস, প্রর্বতক আবৃত্তি সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্জয় হাসান সোহেল, প্লাটফর্ম সম্পাদক প্রকাশক-সম্পাদক কবি হেলাল উদ্দিন হৃদয়, পথিক টিভির ব্যবস্থাপনার পরিচালক কবি লিটন হোসেন জিহাদ, কবির কলম প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, সুনামগঞ্জ সাহিত্য সংসদ এর সাধারণ সম্পাদক কবি ও লেখক উবায়দুল হক মুন্সী, নোঙেরর সদস্য শিপন কর্মকার, মুক্তধারা সাহিত্য অঙ্গন এর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কবি কহিনূর আক্তার প্রমুখ।

সভায় মোঃ আঃ কুদ্দূস বলেন, “বর্তমান সরকার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর পরিষদ জনগণকে নাগরিক সেবা প্রদানে বদ্ধপরিকর। আমরা সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি শহরের পরিবেশ সুরক্ষায় রাস্তা, ড্রেণে ময়লা-আবর্জনা না ফেলা, নদী, পুকুর-খালকে দখল-দুষণ না করা, রাস্তা-ফুটপাত দখল না করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে জনসচেতনতামূলক লেখা লিখার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লেখক, কবি, সাহিত্যিকদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।

সভায় তিনি শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে বিভিন্ন কর্মকাÐ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। যার মধ্যে অমর কথা সাহিত্যিক অদ্বৈত মল্ল বর্মণ এর নামে একটি গণগ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করা, বিভিন্ন দিবসে সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ, আউটডোর সাহিত্য আড্ডা, নৌকা ভ্রমণ আয়োজনসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতামত উপস্থাপন করেন।

সভায় উপস্থিত বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উল্লেখিত কর্মকাÐ বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তারা পৌরসভার বিভিন্ন নাগরিক সমস্যা ও তার সমাধান কল্পে বিভিন্ন প্রস্তাব ও মতামত উপস্থাপন করেন। তারা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিভিন্ন সাহিত্য সাময়িকী উপহার প্রদান করেন।