ফেসবুক মন্তব্যের জেরে জাবি শিক্ষার্থীর সাত বছরের কারাদণ্ড

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 6 June 2022, 157 বার পড়া হয়েছে,

ফেসবুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের অভিযোগে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের মামলায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।

সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জগলুল হোসেন এ রায় দেন। দণ্ড পাওয়া শিক্ষার্থী শামসুল আলম বাবু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ছাত্র।

২০১৫ সালে ওই ঘটনার পর যে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার বিচারে সোমবার রায় ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনাল।

বাবু রায় ঘোষণার আগ পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। রায়ের দিন তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক সিদ্ধান্ত জানানোর পর তাকে সাজা পরোয়ানা জারি করে কারাগারে পাঠানো হয়।

রায়ে বলা হয়েছে, আসামির বয়স ২৩ বছর। তার স্বল্প বয়স বিবেচনায় তাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ (সংশোধিত/২০১৩) এর ৫৭ ধারায় ন্যূনতম সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হলো।

মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৫ সালের ৪ আগস্ট সরকার ও রাজনৈতিক বিভাগের ৩৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আল আমিন সেতু বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইয়ের ওপর একটি কলাম পত্রিকায় প্রকাশ করেন। ওই লেখাটি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৩৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোরশেদুর আকন্দ ফেসবুকে পোস্ট করেন।

ওই পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় শামসুল আলম বাবু তার ‘মো: কবির মামু’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে একটি মন্তব্য করেন। যেখানে তিনি বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন।

আল আমিন সেতু লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে বাবুকে আটক করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ইয়াকুব আলী মিয়া তাকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে লিখিত অভিযোগ করেন।

বাবু রায় ঘোষণার আগ পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। রায়ের দিন তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক সিদ্ধান্ত জানানোর পর তাকে সাজা পরোয়ানা জারি করে কারাগারে পাঠানো হয়।

২০১৫ সালের পাঁচই অগাস্ট তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করা হয়। ২০১৬ সালের ২১শে জুলাই অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়।

ব্যাপক সমালোচনার মুখে বাংলাদেশে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের কিছু ধারা বিলুপ্ত করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন জারি করা হয়। সেই আইনে ৫৭ ধারা বিলুপ্ত করা হয়েছে, তবে এই ধারার অপরাধগুলোকে বিস্তারিতভাবে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে।