ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যতীন সরকার ও বিভুরঞ্জনকে স্মরণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 27 August 2025, 94 বার পড়া হয়েছে,

নিজস্ব প্রতিবেদক : সংগীত ও আলোচনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মরণ করা হয়েছে সদ্য প্রয়াত লেখক ও বুদ্ধিজীবী যতীন সরকার এবং সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারকে।

বুধবার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে এ অনুষ্ঠান হয়েছে ‘জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

অনুষ্ঠানের সংগঠক অরুনাভ পোদ্দার বলেন, এই মাসেই আমরা হারিয়েছি এ দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণের দুই গুণিজনকে। তারা দুজনই মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে আমাদের সমৃদ্ধ করেছেন। এই দুই গুণীজনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।

স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল।

বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা মতিলাল বণিক, সাংবাদিক আবদুন নূর, মাসুদ উর রহমান, নারীনেত্রী স্বাতী চৌধুরী, ফজিলাতুন্নাহার, কবি আমির হোসেন, কার্তিক রায়, শাহ আলম ভূইয়া, ফারুক আহমেদ ভূইয়া, জানিনুর রহমান ও কবি মাশরেকী শিপার।
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন অনিন্দিতা দেব, অন্বেষা পাল, প্রত্যয় মিত্র ও সৌম্য সরকার।গত ১৩ অগাস্ট প্রগতিশীল বাম ধারার বুদ্ধিজীবী, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক, শিক্ষক যতীন সরকার প্রয়াত হন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

আর বিভুরঞ্জন সরকার অফিসে যাওয়ার কথা বলে ২১ অগাস্ট সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন বিকালে মুন্সীগঞ্জে মেঘনা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

বিভুরঞ্জন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নিয়মিত কলাম লিখতেন। তিনি সর্বশেষ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মেইল করেন বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টায়। ফুটনোটে তিনি লেখেন, “জীবনের শেষ লেখা হিসেবে এটা ছাপতে পারেন।”

এরপর যোগাযোগ করা হলে তার ছোট ভাই চিররঞ্জন সরকার বলেছিলেন, নানা কারণে হতাশায় ভুগছিলেন বিভুরঞ্জন।