জাকারিয়া জাকির : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার সুহিলপুরের উজ্জ্বল মিয়া। সারা বছরই দেশের বিভিন্ন পশুর বাজারে পদচারণা থাকে তার। বিভিন্ন হাট থেকে উন্নত জাতের মহিষ সংগ্রহ করে লালন-পালন করেন। এবছর তার শখের দুইটি মহিষ আলোড়ন তুলেছে। এক জোড়া মহিষের ওজন ৫৫মন। দুটি মহিষের দাম হাকা হয়েছে ২৭ লক্ষ টাকা।
সুহিলপুর বাজারের সড়কের পূর্ব পাশে বাড়ির বাবুল মিয়ার ছেলে উজ্জ্বল মিয়া পেশায় মহিষ ব্যাপারী। সারা মহিষ ক্রয় বিক্রয় করতে দেশে বিভিন্ন প্রান্তে পশুর হাটে ছুটে যান। নিজ বাড়িতেই লালন পালন করেন মহিষ। তার বাড়িতে বর্তমানে ৭৫টি মহিষ রয়েছে। ১০জন লোক এসব মহিষকে লালন পালন করে আসছেন। এর মধ্যে উজ্জ্বল মিয়া শখের দুইটি মহিষ রয়েছে খুবই আকর্ষণীয়। দুটি মহিষের ওজন বর্তমানে প্রায় ৫৫ মন। একটির ওজন স্কেলের মাপে সাড়ে ১১শত কেজি আরেকটির ওজন ১হাজার ৫০ কেজি। মহিষ দুইটি খুবই আকর্ষণীয় হওয়ায় বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষের দেখতে আসেন।
উজ্জ্বল মিয়ার চাচা কবির মিয়া বলেন, সারা বছরই আমরা মহিষের ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু এতবড় মহিষ আজ পর্যন্ত দেখি নাই। মহিষ দুটিকে ছাউনির নিচে রেখে লালন পালন করা হচ্ছে। রাগী হওয়ায় তাদের বের করে আনা কষ্টসাধ্য। প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে উৎসুক মানুষ আসে মহিষ দুটিকে দেখতে।
উজ্জ্বল মিয়া বলেন, আমার কাছে এখন ৭৫টি মহিষ রয়েছে। এরমধ্যে দুটি মহিষ আমার খুব শখের। তাদের আনার পর গত ৫ মাস যাবত খুব যত্ম করে পালন করতে হচ্ছে। মহিষ এমনিতেই গরম সহ্য করতে পারেন, তাই বাতাসের জন্যে তাদের ছাউনিতে দুইটি পাখা লাগাতে হয়েছে। প্রতিদিন তিনবেলা গোসল করাতে হচ্ছে। খেড়, ধানের কুড়া, ভুসি ও ছোলা বুট ছাড়া তাদের আর কিছু খাওয়ানো হয়নি।
তিনি আরও বলেন, দুইটি মহিষের ওজন স্কেলের মাপে ২২০০কেজি বা ৫৫মন। দাম চাচ্ছি ২৭ লাখ টাকা। বড়টি ১৫ লাখ এবং ছোটটি ১২লাখ টাকা। বাড়িতে রেখেই দুইটি মহিষকে বিক্রয় করার ইচ্ছে রয়েছে। যদি বাড়িতে বিক্রয় করতে না পাড়ি তাহলে তো বাজারে নিয়ে যেতে হবে। অনেক ক্রেতা বাড়িতে এসেও দামাদামি করেছেন। দামে মিল না হওয়ায় বিক্রয় করিনি। -(সরোদ)