জুয়েল মিয়া, বিশেষ প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার পূর্ব পাইকপাড়া দাসপাড়া এলাকায় তিতাস নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য গর্তেরও সৃষ্টি হয়েছে। বন্যার কারনে ওই বাঁধে ভাঙ্গন শুরু হয়। ইতিমধ্যে জলের স্রোতে ভেঙ্গে গেছে যাতাযাতের এক মাত্র রাস্তাটির অধিকাংশ যায়গা। হুমায়ুন কবির প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের পিছনের দেয়াল পর্যন্ত তিতাস নদীর পানি চলে এসেছে। এতে স্কুলের শিক্ষার্থীদের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। ভারী বৃষ্টিপাত হলে যেকোনো সময় স্কুলের ভবন সহ আশেপাশের অসংখ্য বাড়িঘর তলিয়ে যেতে পারে। ঘরবাড়ি ভাসিয়ে নেয়ার ভয়ে সারা রাত আতংকে থাকেন বাসিন্দারা। মেড্ডা কালা গাজীর মাজার থেকে কান্দিপাড়া, শিমরাইলকান্দি হয়ে ভাদুঘর পর্যন্ত এই বাঁধটি অবস্থিত। ভেঙে যাওয়া বাঁধের তীরবর্তী এলাকার মানুষ জানিয়েছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্যা পরিস্থিতি ক্রমে উন্নতি হচ্ছে। এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে সব বাঁধ পুনর্নির্মাণ করা উচিত। বর্ষা মৌসুম পুরোপুরি শুরু হচ্ছে। এ অবস্থায় বাঁধ ভাঙা অবস্থায় থাকলে সংকট বাড়ার আশঙ্কা আছে। তাই তাঁরা বাঁধগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজান আনসারী বলেন, এক সপ্তাহ আগে বাঁধটি ভেঙ্গেছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করেছি। সাবেক কাউন্সিলর সুবাস দাস বলেন, নদীর পাড়ের লোকজন এই সড়ক দিয়ে বাজারে যায়। বাঁধভেঙ্গে যাওয়ায় এখন অনেকটা পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে। বেশি বন্যা হলে স্কুলের ভবনটি ভেঙ্গে যেতে পারে। দাসপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অনিন্দ দাস অনু জানান, প্রতিদিন হাজার লোকজন পাইকপাড়ার দাসপাড়ার বেড়িবাঁধ সড়কটি দিয়ে চলাচল করে। অতি শীঘ্রই বেড়িবাঁধ সড়কটির ভাঙ্গা অংশ মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান তিনি। এবিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ মইনুল হোসেন বলেন, শহর রক্ষা বাঁধের সংস্কারের জন্য একটি টেন্ডারের প্রসেস চলতেছে। যদি স্যাররা অনুমতি দেয় তাহলে ১৫দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে।সেখানে অফিসের একজন লোক পাঠাবো সরাসরি গিয়ে দেখে আসবে।