সুমাইয়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী আব্দুল্লাহপুর (ভুবন) গ্রামের চাকমা মনিরের মেয়ে। সে হীরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানান, সাংসারিক কাজকর্ম নিয়ে প্রায়ই মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হতো সুমাইয়ার। শনিবার রাতেও তাদের ঝগড়া হয়। পরে তার মা তাকে বকাঝকা করে বেত্রাঘাত করলে সে অভিমান করে ঘরে রাখা কীটনাশক পান করে। পরে ঘটনা বুঝতে পেরে স্বজনরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এর পর উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে। ওই রাতেই সেখানে চিকিৎসাধীন সুমাইয়ার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে আখাউড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, ওই কিশোরীর পরিবার পুলিশকে না জানিয়ে অতি গোপনে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের জন্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। তবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
আখাউড়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. জাকির হোসেন জানান, সুমাইয়া তার মায়ের সঙ্গে অভিমান করে কীটনাশক পান করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। তার লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।