ডেস্ক রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ তিনজন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা চাঁদাবাজির অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় থেকে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
উত্থাপিত অভিযোগ যাচাই-বাছাই করতে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত উপপরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ উপবিভাগ) বিকাশ চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে দুই সদস্যের তদন্ত টিম সরেজমিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন।তদন্ত টিমের প্রধান বিকাশ চন্দ্র দাস মঙ্গলবার রাতে জানান, আগামি দুই দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কমিটির প্রতি নির্দেশ থাকলেও খুঁটিনাটি বিষয় যাচাই-বাছাইয়ের স্বার্থে আরো কয়েকদিন সময় চেয়ে আবেদন করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলার সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান, নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান ও কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল হকের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কুমারশীল মোড়ের এএফসি রেস্টুরেন্টের সত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ আরাফাত গত রোববার চাঁদাবাজির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জেলা প্রশাসকের কাছে দায়ের করা ওই অভিযোগে বলা হয়, গত ৮ জুলাই রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপক শাহীনের মোবাইলে অপরিচিত নম্বর থেকে আতিক নামে কেউ কল করে ৫ হাজার টাকা বিকাশে পাঠাতে বলে। টাকা না দিলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৫ গুণ জরিমানা আদায়ের হুমকিও দেওয়া হয় ফোনে। কিন্তু রেস্টুরেন্ট মালিক টাকা পাঠাননি।
এর ১২ দিন পর ২০ জুলাই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে অভিযুক্ত ৩ কর্মকর্তা ২ পুলিশ সদস্যকে নিয়ে ওই রেস্টুরেন্টে যান। এরপর তারা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৩ ধারার লঙ্ঘন হয়েছে দাবি করে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য্য করেন। মালিকপক্ষ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা পরিশোধ করে দেয়। পরে তারা এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তদন্ত কমিটির ঘটনাস্থল পরিদর্শন বিষয়ে রেস্টুরেন্ট মালিক মোহাম্মদ আরাফাত জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তারা মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি রেস্টুরেন্টে এসে সেদিনের ঘটনার সময় উপস্থিত অনেকের সাথে কথা বলেন। তারা রেস্টুরেন্ট মালিক মোহাম্মদ আরাফাত ও ব্যবস্থাপক শাহীনের সঙ্গে আলাদা আলাদা কথা বলেন এবং তাদের জবানবন্দি নোট করে নেন। (সূত্র সরোদ)