সংবাদ সম্মেলনে শিল্পী অভিযোগ করেন, ২০২০ সালের ১ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে পৌর এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে মো. আব্দুল সাত্তারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসার ভালোভাবেই চলছিল। তবে কিছুদিন পর বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে শিল্পীর কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় সাত্তার। টাকা দিতে না চাইলে শুরু হতো অমানবিক নির্যাতন।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে একাধিকবার মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। স্বামীর ছোটভাই জেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত সদস্য নাসির উদ্দিনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হয়েও কোনও বিচার পাইনি।
শিল্পী অভিযোগ করে বলেন, ‘ভরণপোষণ ও স্ত্রীর মর্যাদা চাইলে আব্দুল সাত্তার খুন জখমসহ আমাকে তালাক দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। এ ঘটনায় গত ৪ নভেম্বর নবীনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি। এর আগে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে একটি মামলা করেছি, যা বর্তমানে চলমান রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে জেনেছি, আব্দুল সাত্তার আরও তিনটি বিয়ে করেছে।
এ বিষয়ে জানতে আবদুল সাত্তারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি শিল্পী আক্তারকে বিয়ে করার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘রোববার নবীনগরের কৃষ্ণনগরে বিষয়টি নিয়ে সালিশ হবে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেব, তার সঙ্গে থাকব নাকি তালাক দেব। সে যদি সংবাদ সম্মেলন করে কিছু করতে পারে করুক। আমার কোনও আপত্তি নেই। আমি তাকে কোনও নির্যাতন করিনি।