উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কাজাহাজী পূর্বপাড়া গ্রামের নাজিমউদ্দিন খন্দকারে ছেলে মেধাবী ছাত্র নাজমুল হাসান হাজারও ছাত্রের অনুপ্রেরণা। লেখাপড়ার প্রতি তার ইচ্ছাশক্তি দেখে অনেকেই বিস্মিত।
পরিবার ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে জেএসসি পরীক্ষার পর রাতে ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে দুটি হাত পুড়ে যায় নাজমুল হাসানের। পরে দীর্ঘদিন ঢাকার নসট্রাম হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার দুটি হাতের কনুই পর্যন্ত কেটে ফেলতে হয়। দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে দুহাতের কনুই দিয়ে বাড়িতে লেখার জন্য প্রায় দুই বছর চেষ্টার পর অবশেষে সফল হয় সে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পক্ষ থেকেও তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হয়।
স্থানীয় মৈশাধামনা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে নাজমুল।
উপজেলার চাঁদপুর পরীক্ষা কেন্দ্রে দুহাতের কনুই দিয়ে নিচু বেঞ্চে বসে এসএসসি পরীক্ষায় লিখতে দেখা যায় তাকে।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব মোস্তফা কামাল যুগান্তরকে বলেন, নাজমুল হাসান সাধারণ পরীক্ষার্থীদের মতো বেঞ্চে বসে পরীক্ষা দিতে পারে না। নিচু বেঞ্চে বসে এবং বেঞ্চে খাতা রেখে প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয় তাকে। তার জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট বরাদ্দ থাকলেও নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারে।