মোঃ আশিকুর রহমান : আন্তর্জাতিক বাবা দিবস উদযাপন করেছে কবি ও কবিতা সংগঠন কবির কলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এ উপলক্ষ্যে গত ১৯ জুন, রবিবার সন্ধ্যায় কবির কলমের প্রকাশিত বিশেষ একটি স্মরণিকার মোড়ক উম্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি ও কথাসাহিত্যিক মোঃ আমির হোসেন, সুনামগঞ্জ সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক কবি ও প্রাবন্ধিক ওবায়দুল হক মুন্সী।
কবির কলমের সভাপতি কবি মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ এর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সহ-সভাপতি, ‘আমাদের বাবা’ শীর্ষক স্মরণিকার সম্পাদক কবি সিরাজুম মুনিরা শশী এর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবির কলমের সিনিয়র সহ-সভাপতি কবি হুমায়ুন কবির। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ডিজিটাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডটকমের সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নাঈম, জনতার খবর ডটকমের বার্তা সম্পাদক আদিত্য কামাল।
সভায় বক্তগণ বলেন, মানুষের জীবনে বাবাদের গুরুত্ব ও ভূমিকা অপরিসীম। বাবাদের ত্যাগ-তিতিক্ষা, সংগ্রাম ও পরিশ্রমের ফলে আমরা পৃথিবীতে সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারি। বক্তাগণ বলেন সারা জীবন বাবারা যেমন সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল তেমনিভাবে আমাদেরও তাদের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। কিন্তু বর্তমানে অনেক সময় দেখা যায় বাবা-মার প্রতি সন্তানরাই দায়িত্বশীল আচরণ করেন না। এছাড়াও রাস্তাঘাটে কোন বৃদ্ধ বাবা দেখলে এখনকার ছেলেমেয়েরা তাদেরকে যথাযোগ্য মর্যাদা সম্মান প্রদর্শন করে না। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
সভায় আয়োজকরা বলেন, কোন নির্ধারিত দিবসে বাবাদের প্রতি সম্মান জানানো সিমাবদ্ধ থাকে না। প্রতিটিদিন, প্রতিটি মুহুর্তই বাবাদের প্রতি সম্মান জানানোর দিন। আজকের দিবস পালনের উদ্দেশ্য বিশ্বের সকল বাবাদেরকে প্রতীকী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং সম্মান জানানো এবং এর মাধ্যমে অবাধ্য, অকৃতজ্ঞ সন্তানদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করাই আমাদের অন্যতম লক্ষ্যে।
তারা বলেন, বাবা দিবস উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে এই প্রথম কোন স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। এই স্মরণিকাটিতে বাবাকে নিয়ে লেখা ২০জন কবির ১৭টি ছড়া/কবিতা, একটি নিবন্ধ, একটি প্রবন্ধ ও একটি চিঠি প্রকাশিত হয়েছে। আগামীতে আরো ব্যাপক আয়োজনে এ দিবস উদযাপন ও স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে বলে আয়োজকরা জানান।
উল্লেখ্য: দেশব্যাপী চলমান অতিবৃষ্টি ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে এবারের বাবা দিবস সংক্ষিপ্ত আকারে উদযাপন করা হয়। সভায় বন্যার্তদের প্রতি সমবেদনা জানানো হয় এবং তাদের প্রতি সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান ও স্বেচ্চাসেবীদের এগিয়ে আসার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।