মোঃ নিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও ফেসবুক লাইভে এসে মদকে ওষুধ এবং এর ব্যবসাকে হালাল মন্তব্য করে ভাইরাল হয়েছেন।
সোমবার (২০ নভেম্বর) মধ্যরাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া লাইভে তিনি এ মন্তব্য করেছেন। এ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) থেকে সমালোচনার ঝড় বইছে।
একজনের প্রশ্নের জবাবে ফেসবুক লাইভে
ফিরোজুর রহমান ওলিও বলেন, এটা (মদ) মেডিসিন হিসেবে খায়, তোমাকে (প্রশ্নকারী) ব্যবস্থা করে দেবো, যদি ডাক্তার বলে। আমরা তো বলতে চাই না, আমরা তো ঘুস খাই না। আমরা তো শুনি, মানুষের মনে কষ্ট দেই না। এসব নিয়ে বলতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, সরকারকে জিজ্ঞেস করেন লাইসেন্স কেন দেয়। তোমাদের সরকারই তো এ ব্যবস্হা দিচ্ছে , ২০-৩০ বছরের ভেতরে কেউ দেয়নি। আমাদের সরকার এসেই তো লাইসেন্স দিয়ে ভরিয়ে ফেলছে দেখলাম। আমার ম্যানেজাররাও কোটি টাকা চুরি করে তিন-চারটি করে মদের বার দিয়েছে। যদিও আমি এখন এ ব্যবসায় নেই। আমার সন্তানরা থাকা মানেই আমি থাকা, এটা কোনো ব্যাপার না। ব্যবসা আমার পবিত্র ব্যবসা।
তিনি আরও বলেন, আমি ব্যাংকের ব্যবসা করি। ইসলামের বিধান আছে তুমি যেটার কথা বলছো (মদের ব্যবসা) এটার জন্য যদি ১০টা বেত মারে, ব্যাংকের ব্যবসার জন্য মারবে ১০০টা বেত। কিন্তু ব্যাংকের ব্যবসা নিয়ে কেউ কিছু কয় না।
মদের ব্যবসা সম্পর্কে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, আমি হালাল ব্যবসা করি, এসব সরকার বুঝবে। হালাল না হলে কী সরকার ব্যবসা করে! নাহলে সরকারই তো বেহাল হয়ে যাবে। এই ব্যবসা নিয়ে ইসলাম কী বলে তা সরকার বুঝবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন বক্তব্য সারাদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তার এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন অনেকেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান বলেন, মদের ব্যবসায় আমি যদিও নাই। ছেলেরা এ ব্যবসা দেখে। আমাকে লাইভে প্রশ্ন করায় আমি জিজ্ঞেস করেছি মদের এ ব্যবসা কে দিয়েছে ? এর লাইসেন্স তো সরকারই দিয়েছে। আমি তো ট্যাক্স দিচ্ছি, আমার ব্যবসা তো বৈধ। আমি যে ব্যাংকের ব্যবসা করি এ নিয়ে তো কেউ কিছু বলে না। ইসলামের বিধান অনুযায়ী ব্যাংকের সুদের ব্যবসা করলে ১০০ দোররা এবং মদের ব্যবসা করলে ১০টা ডোরা। আমাকে ব্যাংকের ব্যবসার কথা কেউ বলে না, সবাই শুধু মদের ব্যবসার কথা বলে।