ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়ার (২২) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (২০ নভেম্বর) রাত সোয়া ১১টার দিকে উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের চর শিবপুর গ্রামের বাড়ির পাশে কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে, বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর রাজধানীর নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। রাত পৌনে ১১টার দিকে তার উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের চর শিবপুর গ্রামের ঈদগাঁ মাঠে নিহত নয়নের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ সংসদীয় আসনের সাবেক এমপি আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য রফিক শিকদার, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংসদের যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল মৃধা, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ফুজায়েল চৌধুরী, সদস্য সচিব মহসিন মিয়া হৃদয় সহ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহণ করেন।
জানাজার নামাজের আগে বক্তব্যে নিহত নয়নের বাবা তার ছেলে হত্যার বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। পরে জানাজা শেষে নিহত ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়ার মরদেহ নিজ বাড়ির পাশে কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে আগামী ২৬ নভেম্বর বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করতে লিফলেট বিতরণকালে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ সভাপতি মো. নয়ন মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয় বাঞ্ছারামপুর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ইমান আলি। পাশাপাশি ৬জন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার দাবি করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। -(সরোদ)