‘হে নূতন
দেখা দিক আর-বার
জম্মের প্রথম শুভক্ষন।’
রবি ঠাকুরের এই লাইনগুলোতেই যেন খুঁজে পাই পহেলা বৈশাখে একজন রাবেন্দ্রি প্রেমিক,সাংস্কৃতিক কর্মী,সমাজ সংস্কারক আসিফ ইকবালের জম্মক্ষন।
তিনি ভালোবাসেন রবীন্দ্রনাথকে, ভালোবাসেন মাদার তেরেসাকে, ভালোবাসেন সৃষ্টার সৃষ্টিকে। তাই তো তার মহানুভবতা, দয়াশীলতা, সত্যনিষ্ঠতা নানান মানুষের জীবন জীবিকায় স্পন্দন খুঁজে পাই। মানুষকে ভালোবাসলে তার মূলে নাভিতে যেতে হয়, কিন্তু সবাই খুব ব্যস্ত।যা এখনকার যান্ত্রিক পৃথিবীতে বিরল।কিন্তু তিনি মূল খুঁজে নাভিতে যাওয়ার চেষ্টা করে বলেই স্বর্বজন নন্দিত হয়েছেন।রাত পোহালে আলো আসে, ভোর কেটে জীবন বিস্তর এগিয়ে যায়। দিগন্ত জোড়া মাঠ পেরিয়ে যেখানে স্নিগ্ধ সুনীল আকাশ ছুঁয়েছে মেঘকে সেখানে হয়ত এই মানুষটির সন্ধান পাওয়া যাবে তার সততা, আর্দশ আর মানুষকে ভালোবাসার এক পরিবর্তন পৃথিবীতে।
আমরা সবাই একটা বচন খুব ব্যাখ্যা করি বেশি। পৃথিবীতে ভালো মানুষের খুব অভাব কিন্তু আমরা হয়ত চোখ মেলে কখনো দেখারই চেষ্টা করি না পাশের মানুষটির অবস্থান কি, আবশ্যকীয়তা কি। ভিতর ভিতর না আলিঙ্গন করলে কিভাবে বুঝা যায় কার মনে কতখানি ভালোবাসা সবিস্তর করে। তার জন্য অবশ্যই সুন্দর মনের প্রয়োজন যা নিতান্তই এই যুগে সংখ্যায় নগন্য।
‘তোমার প্রকাশ হোক কুহেলিকা করি উদঘাটন
সূর্যের মতন। রিক্ততার বক্ষভেদি আপনারে করো উন্মোচন।’
মানুষটির প্রকাশ তিনি নিজেই,খালি চোখ দিয়ে স্হির কিছু দেখা গেলেও ঘোলা চোখে তা ভাসমান। মনের সান্নিধ্যে ইশ্বরকে খুঁজে নিবার যে তৃঞ্চা তা তার চোখে মুখে ভাসমান পদ্ম বিলের মত।ইশ্বরকে আমরা মসজিদ মন্দিরে খুঁজে বেড়ায় কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছি তার সৃষ্টিকে ভালোবাসতে পেরেছি কি না।তার সৃষ্টিকে আমার কর্মে সন্তুষ্ট করতে পেরেছি কি না।
যারা ইশ্বরের সৃষ্টিকে ভালোবাসতে জানে না তারা কখনোও সৃষ্টাকে পাবে না তার ধর্মচর্চার ব্যঞ্জন যত সুমধুরই হোক। যে মানুষটির কথা বলছি চেতনায় মেধা ও মননে তিনি এইভাবে ইশ্বরকে লালন করেন। সূর্যের মতন, কখনো জ্যোস্না রাতে চাঁদের আলোয়, কখনোবা শ্রাবনের বৃষ্টিধারায় কূপমন্ডুকতা ধুয়ে মুছে সাফ করেন। অপ্রান মানুষগুলোকে প্রান সঞ্চার করেন। পৃথিবীতে কেউ বা আছে অতল মানুষগুলোকে বাঁচতে সাহায্য করবেন কিন্তু তিনি মহানন্দে জীবনকে প্রসার করছেন, শক্তি সার্মথ্য, প্রত্যয়-বল দিয়ে সমবেত মানুষের লাইনের সারি লম্বা থেকে লম্বা করেন। তবু করছেন।
‘ব্যক্ত হোক জীবনের জয়,ব্যক্ত হোক তোমা মাঝে
অসীমের চিরবিস্ময় উদয় দিগন্তে শঙ্খ বাজে মোর চিত্তমাঝে।’
চিরনূতনের দিল ডাক…
মানুষটির জম্মদিন পহেলা বৈশাখ।নববর্ষের আনন্দঘন আবেশে জম্ম নেয়া তিতাসপাড়ের শুদ্ধধারা সংস্কতিচর্চায় রেখেছেন এক অন্যবদ অবদান। বাঙালীর শ্বাশত চিরায়ত নানান উৎসব পার্বনে সংস্কৃতির তীর্থস্হান তিতাসপাড়ের আবহে উৎযাপন করে এসেছেন বর্ষবরন,বসন্ত উৎসব, বর্ষামঙ্গল, চৈত্রসংক্রান্তি, পিঠা উৎসব সহ নজরুল-রবীন্দ্র জম্ম জয়ন্তী। কতখানি সংস্কৃতি লালন এবং ধারন করলে বাঙ্গালীর শিকরের কাছে যাওয়া যায়,কতখানি সংস্কৃতিমনস্ক হলে বাঙ্গালীর লোকজ সংস্কৃতিকে বেগবান করা যায় এই মানুষটির নিরলস প্রচেষ্টা,প্রবল মনবল না দেখলে বুঝা যাবে না।
রবীন্দ্রনাথকে তিনি মনে প্রানে ধারন করেন,অতল শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ততা আমি দেখেছি।এই মানুষটির রবীন্দ্র চর্চা আমাকে মুগ্ধ করেছে। যে দিন শুনেছি “ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে আমার নামটি লিখো তোমার মনের মন্দিরে” সেদিনই ছিল প্রথম পরিচয় কিন্তু আলাপ ছিল না।
শুভ হোক প্রতিক্ষন, শুভ হোক চারপাশ।
শুভাশিস ভালোবাসা লও
হে প্রানপ্রিয়, প্রানোচ্ছল…. আসিফ ইকবাল খান।
লেখক – আবদুল মতিন শিপন, সংস্কৃতিকর্মী,গল্পকার।